• হেরিটেজ তকমা রক্ষায় নিয়ম মানা হচ্ছে তো?, ৪৫টি প্রশ্ন পাঠিয়ে বিশ্বভারতীর কাছে জানতে চাইল ইউনেস্কো
    বর্তমান | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি পেয়েছিল কবিগুরুর কর্মতীর্থ শান্তিনিকেতন। সেই তকমার সামগ্রিক ‘আউটস্ট্যান্ডিং ইউনিভার্সাল ভ্যালু’ রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কি না, তা বিশ্বভারতীর কাছে জানতে চাইল ইউনেস্কো। এই মর্মে ইউনেস্কোর তরফে ৪৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে। হেরিটেজ রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কীভাবে ক্যাম্পাসের সংরক্ষণ করছে ও কী কী কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে সেগুলিই মূলত জানতে চাওয়া হয়েছে। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী উত্তর পাঠায় সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।


    শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড ‘লিভিং’ হেরিটেজ সাইটের অন্তর্গত। আশ্রম সৃষ্টির পর থেকে শান্তিনিকেতনের মৌলিক বৈশিষ্ট্যের ধারা অপরিবর্তিত থাকার কারণেই এই সম্মান দিয়েছে ইউনেস্কো। তবে তকমা ধরে রাখতে কর্তৃপক্ষকে তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে ইউনেস্কোকে নিয়মমাফিক তথ্য জানাতে হয়। কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি এই হেরিটেজ রক্ষায় নিয়ম যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউনেস্কোর কাছে অভিযোগ জানান। ‌সেব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগকারীর বিশ্বভারতী বা এর সীমানার বিষয়ে সম্যক ধারণা নেই। না হলে খোয়াই বা কোপাই নদী রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে ইউনেস্কোকে অভিযোগ করতেন না। পাশাপাশি যে সময়ে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তখন বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতনে উৎসবের মরশুম চলছিল, সেইসময় রবীন্দ্রভবন ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যটকদের ভিড় হওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইউনেস্কোকে সেই উত্তর ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাত। 


    হেরিটেজ সামগ্রিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কি না জানতে কর্তৃপক্ষের কাছে বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে ইউনেস্কো। ‌বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় পর্যায়ে ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নীতি ও কৌশল তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয় কী পদক্ষেপ নিয়েছে? সেই ব্যবস্থা উন্নত করতে কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ কী? এই ধরনের মোট ৪৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এর মাঝে, হেরিটেজ সেলের জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক অনিল কুমারকে হেরিটেজ সাইট ম্যানেজার হিসেবে নির্বাচিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, অনিলবাবু ও হেরিটেজ সেলের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করার পর আমাদের তরফে ইউনেস্কোকে উত্তর জানানো হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)