সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: ডাঁই করে রাখা জঞ্জালের স্তূপ। তার পাশেই রান্না হচ্ছে রোগীদের খাবার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের। অথচ নজর নেই কর্তৃপক্ষের। এহেন কাণ্ডে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে সেখানে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশে শিলিগুড়ি পুরসভা কয়েকমাস আগে হাসপাতালের জমা সব জঞ্জাল সাফাই করে। তারপর থেকে নিয়মিত সাফাই না হওয়ায় রান্নাঘরের পাশে আবার জঞ্জাল জমছে। খাবারের সন্ধানে গবাদিপশু, সারমেয়র দল রান্নাঘরের পাশে জঞ্জাল চারদিকে ছড়িয়ে চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করছে। ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ। উড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি। রোগীদের খাবারেও বসছে। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবারই পৌঁছে যাচ্ছে রোগীদের কাছে।
রোগীদের খাবারের বরাত পাওয়া সংস্থার কর্ণধার জ্যোতিষ ধর বলেন, রান্নাঘরের এই দশা দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি আর এক নতুন দেখা দিয়েছে। যে করিডর ধরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রোগীদের খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় সেখানেও জমছে জঞ্জাল। কর্মীরা ঝুঁকির মধ্যে খাবার নিয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। তারা আর এখান দিয়ে খাবার নিয়ে যেতে চাইছেন না। গোটা পরিস্থিতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ব্যবস্থা না নিলে ওয়ার্ডে খাবার পৌঁছনোর ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে।
ক্রমাগত অভিযোগ পাওয়ার পর সোমবার রান্নাঘর সংরগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন অ্যাডিশনাল সুপার ডাঃ নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেপুটি সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল। তাঁরা এই সমস্যার সমাধান হিসেবে হাসপাতালের পরিত্যক্ত জায়গায় গর্ত করে সেখানে জঞ্জাল ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। ডাঃ নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শিলিগুড়ি পুরসভা বকেয়া টাকা না পেয়ে জঞ্জাল নিতে চাইছে না। বকেয়া ছ›লক্ষ টাকা পরিশোধ করার পরই আবার জঞ্জাল অপসারণ করবে তারা। এই পরিস্থিতিতে জঞ্জাল ফেলাটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে রোগীদের খাবার তৈরির পরিবেশ দ্রুত স্বাস্থ্যকর করার উদ্যোগ নিচ্ছি। গর্ত করে সেখানে সব জঞ্জাল ফেলা হবে। এলাকা পরিদর্শনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। - নিজস্ব চিত্র