গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় খণ্ডযুদ্ধ এসএফআই ও টিএমসিপি’র
বর্তমান | ০৪ মার্চ ২০২৫
সংবাদদাতা, মালদহ: সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা। এদিন সন্ধ্যায় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কুশপুতুল পোড়ানোর কর্মসূচি নেয় এসএফআই। পাল্টা রুখে দাঁড়ায় টিএমসিপি। দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। ঘটনাস্থলে হাজির হয় ইংলিশবাজার থানার পুলিস।
এসএফআইয়ের মালদহ জেলা সভাপতি কৌশিক মৈত্র বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি নিয়েছিলাম। কিন্তু আচমকাই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের নাম করে কিছু যুবক-যুবতী আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমাদের কর্মীদের বেধড়ক পেটানো হয়। কুশপুতুল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তবে আমরা হাল ছাড়ছি না। খুব দ্রুত আমরা আবার কর্মসূচি নেব। পাল্টা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায়ের বক্তব্য, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও বেশ কয়েকজন অধ্যাপক অধ্যাপিকার উপরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ও অতিবাম কিছু যুবক যুবতী আক্রমণ করেছিল। তার প্রতিবাদে আমরা এদিন বিক্ষোভ মিছিল করি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মিছিল শুরু হয়। ক্যাম্পাসে আমাদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে নৈরাজ্য তৈরির চেষ্টা করে মালদহের কিছু বাম ও অতিবাম যুবক যুবতী। তাঁদের কেউই ছাত্রছাত্রী নন। আমাদের সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের ওপরে হামলা করে এসএফআই। আমাদের কর্মীরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু ইউনিয়নের মালদহ জেলা সভাপতি শুভায়ু দাস বলেন, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে যাদবপুর বানানোর চেষ্টা করতে এসেছিল এসএফআই নামধারী কিছু মানুষ। আমরা তা রুখে দিয়েছি। আমাদের উপরে এসএফআই নামধারীরা হামলা করেছে। তাদের দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এদিন যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে ওয়েবকুপা, তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি, তৃণমূল মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক সমিতি, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ যৌথ মিছিল করে। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য মাইক ব্যবহার করা হয়নি। মালদহ শহরের ফোয়ারা মোড়ে মিছিল শেষ হয়।