• দলীয় সভায় অনুপস্থিত রবি-পার্থ, শুরু জল্পনা
    বর্তমান | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: কোচবিহার জেলায় ইতিমধ্যে বহু ভোটারের এপিকে গোলযোগ ধরা পড়েছে। বিশেষ করে মাথাভাঙা মহকুমায়। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়ে জেলায় ভূতুড়ে ভোটার ধরতে সোমবার কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস বর্ধিত সভার ডাক দিয়েছিল। সেই সভায় জেলার মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক সহ জেলা নেতারা উপস্থিত থাকলেও সভায় আসেননি জেলা তৃণমূলের দুই প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং পার্থপ্রতিম রায়। যা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরেই। ইতিমধ্যেই ‘কাকা’ রবি ঘোষ এবং ‘ভাইপো’ পার্থপ্রতিম রায়কে নিয়ে জল বহুদূর গড়িয়েছে। 


    গত ২৮ ডিসেম্বর ডাকা দলের বর্ধিত সভাতেও গরহাজির ছিলেন জেলা তৃণমূলের এই দুই নেতা। তবে রবি-পার্থর পাশাপাশি সোমবার কোচবিহার রবীন্দ্র ভবনে ডাকা তৃণমূলের বর্ধিত সভায় অনুপস্থিত ছিলেন আরও এক প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। ফলে প্রাক্তন তিন জেলা সভাপতির একইসঙ্গে দলের বর্ধিত সভায় গরহাজির থাকা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন ফের একবার প্রকাশ্যে এল। 


    এর আগে তৃণমূলের বর্ধিত সভায় ডাক না পাওয়ার অভিযোগ তুলে রবীন্দ্রভবনে দলের সেই সভা এড়িয়ে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান নেতা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ তথা এনবিএসটিসি’র বর্তমান চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় সহ খোকন মিয়াঁ, পরিমল বর্মনরা। এদিনও তাঁরা কেউ আসেননি। এমনকী কিছুদিন আগে কোচবিহার জেলায় বিধানসভা ধরে ধরে হওয়া তৃণমূলের প্রকাশ্য কর্মিসভার একটিতেও তাঁদের দেখা যায়নি। ফলে জেলা নেতারা যতই গোষ্ঠী কোন্দলের কথা অস্বীকার করুন না কেন লোকসভা ভোটের পর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল যে ঘরের ভিতরে আটকে নেই, সেকথা জানেন নিচুতলা থেকে রাজ্য নেতৃত্বও। 
  • Link to this news (বর্তমান)