• ভুয়ো ভোটার: ভুল স্বীকারে নির্বাচন কমিশনকে ২৪ ঘণ্টা সময় তৃণমূলের
    বর্তমান | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রুটি না মানলে ডুপ্লিকেট এপিক নাম্বার দুর্নীতি ফাঁস করে দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনকে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল তৃণমূল। বিষয়টিকে কমিশনের দুর্নীতি বলেই অভিযোগ করছে তারা। আন্দোলন জোরদার করতে সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, উদ্ধবপন্থী শিবসেনা, শারদ পাওয়ারের এনসিপি, ডিএমকে এবং আরজেডি’র সঙ্গেও যোগাযোগ করছে তৃণমূল। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্যায়। সেখানেও ডুপ্লিকেট এপিক নাম্বার ইস্যুতে মোদি সরকারকে চেপে ধরা হবে বলেই ঠিক করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। 


    ১২৯টি ডুপ্লিকেট এপিক নাম্বারের একটি তালিকা এদিন তৃণমূল প্রকাশ্যে এনেছে। সেখানে বিজেপি শাসিত হরিয়ানার ভোটারদের সঙ্গে মিলে গিয়েছে বাংলার ১২৮ টি এপিক নাম্বার। একটি পাঞ্জাবের। আগামী দিনে গুজরাতের সঙ্গেও বাংলার ডুপ্লিকেট এপিক নাম্বারের তথ্য তুলে ধরা হবে। প্রকাশ্যে আনা তালিকায় সুমন নামে হরিয়ানার হিসারের এক ভোটারের তো দুটি এপিক নাম্বার! যার একটির সঙ্গে মুর্শিদাবাদের এক সুমনের নাম মিলে গিয়েছে। অন্যটি মুর্শিদাবাদের নয়ন শেখ নামে এক ভোটারের। প্রথমটিতে দুই সুমনের (বাংলা এবং হরিয়ানা) অভিভাবকের নামও একই। রামপাল। দ্বিতীয় এপিক নাম্বারের সুমনের বিধানসভা একই (বারওয়ালা) এবং একই পার্ট নাম্বার (১১৭ কসবা হিসার)। স্রেফ অভিভাবকের নাম শ্যামপাল। তাই কমিশনের দিকে দুর্নীতির আঙুল তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। 


    ডুপ্লিকেট এপিক নাম্বারের বিষয়টি ইচ্ছাকৃত বলে মানতে হবে বলেই সোমবার নির্বাচন কমিশনকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল তৃণমূল। বাংলায় আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে বাইরে থেকে ভোটার এনে ভোট দেওয়ানোর ‘ফন্দি’ করেছে বিজেপি। আর এই কাজে নির্বাচন কমিশন সাহায্য করছে বলেই তৃণমূলের অভিযোগ। ভারতের নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তর অশোক রোডে। তার কাছেই কনস্টিটিউশন ক্লাবে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূলের তিন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কীর্তি আজাদ এবং সাগরিকা ঘোষ। 


    ডুপ্লিকেট এপিক নাম্বারের তালিকা তুলে ধরে ডেরেক বলেন, কমিশনকে মানতে হবে যে, তারা ভুল করেছে। ডুপ্লিকেট এপিক নাম্বারের কথা তারা জানত। তাহলে এতদিন কেন চুপ ছিল? কমিশনকে ত্রুটি মানতে হবে। আর না মানলে মঙ্গলবার ফের নতুন তথ্যে কমিশনের ফন্দি ফাঁস করে দেব। আগামী তিন মাসের মধ্যে যাবতীয় ভুল শুধরে নিতে হবে। কোনওভাবেই বাংলার বাইরের ভোটারদের ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে দেব না। 
  • Link to this news (বর্তমান)