ফের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, গোয়েন্দা বিভাগ, এসটিএফের সঙ্গে বৈঠক করবেন সিপি
বর্তমান | ০৪ মার্চ ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি মাসে ফের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট (ডি ডি), এসটিএফ, স্পেশাল ব্রাঞ্চের গোয়েন্দাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসতে চলেছেন কলকাতার পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা। লালবাজারের এক বিশেষ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ডের পর কলকাতা পুলিসের দায়িত্ব নেওয়া থেকে নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহের সোম আর শুক্রবার ডিভিশনের ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক সারেন সিপি। প্রতিটি ডিভিশনের সমস্যা, তদন্তের অগ্রগতি, অভাব-অভিযোগ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের ডিসিদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতার সিপি ডিডি, এসটিএফ, স্পেশাল ব্রাঞ্চের গোয়েন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেবার সোর্স নেটওয়ার্কের পাশাপাশি গোয়েন্দা-তথ্য (ইন্টেলিজেন্স ইনপুট) সংগ্রহের ক্ষেত্রে গোয়েন্দাদের খামতি থেকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। বিশেষ করে, গত নভেম্বর মাসে কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলারকে লক্ষ্য করে ভিনরাজ্যের সুপারি কিলারদের হামলা, বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গুলি, মহিলাঘটিত অপরাধের বাড় বাড়ন্ত নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি।
স্বভাবতই এবারের বৈঠকে সিপি কী বার্তা দেন, তা নিয়ে গোয়েন্দামহলে যথেষ্ট কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে হালফিলে বড়তলায় সাত মাসের শিশুকন্যার ধর্ষণকারীকে ফাঁসির সাজা, গল্ফ গ্রিনে রহস্যে মোড়া জোড়া খুনের কিনারা, শিয়ালদহে এসটিএফের অস্ত্র উদ্ধারের মতো কয়েকটি সাফল্যের ঘটনা থাকলেও মাথাব্যথার কারণও রয়েছে।
কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, এমনিতে কলকাতায় রাজনৈতিক- ইনপুট সংগ্রহের দায়িত্ব স্পেশাল ব্রাঞ্চের গোয়েন্দাদের। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার জেরে এই শাখার গোয়েন্দাদের চাপ বেড়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বার্তা অনুসারে, বাংলাদেশে অস্থিরতার সুযোগে জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট বানিয়ে কলকাতা থেকে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে অন্তত ২০-২৫ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি। আবার বছর গড়ালে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ফলে স্পেশাল ব্রাঞ্চের গোয়েন্দারা বাড়তি চাপে।
অন্যদিকে, ১২ বছর কলকাতা পুলিসে এসআই নিয়োগ বন্ধ ছিল। ফলে ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টে (ডি ডি) এসআইয়ের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, ২০০৯, ২০১০ ব্যাচের এসআইরা ইনসপেক্টর পদে প্রোমোশন পেলে আর হাতে গোনা এসআই অবশিষ্ট থাকবেন। অথচ, সাইবার ক্রাইম বাদে সবক্ষেত্রেই তদন্তকারী অফিসার হিসেবে কাজ করে থাকেন এসআইরা। ফলে কী করে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবেন সিপি, সেদিকে তাকিয়ে লালবাজার।