• ১০ হাজার টাকা না দেওয়ায় এনআরএসে বেড ‘অমিল’! 
    বর্তমান | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও কলকাতা: হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন বারাসতের কদম্বগাছির গৃহবধূ। তাঁকে বারাসত থেকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। সেখানে রোগী ভর্তির সমস্ত প্রক্রিয়াও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও মেলেনি বেড। তাঁদের বলা হয়, বেড পেতে গেলে দিতে হবে ‘তোলা’—এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় রোগীকে এনআরএসে ভর্তি করতে পারেননি পরিবারের লোকজন। তাই অ্যাম্বুলেন্সে করেই তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি।


    জানা গিয়েছে, বারাসতের কদম্বগাছি এলাকার বাসিন্দা তপন মণ্ডল। তাঁর স্ত্রী দেবী মণ্ডল রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাঁকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে সোজা নিয়ে চলে যান এনআরএস হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে প্রাথমিকভাবে ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসাও হয়। পরে হাসপাতালে বেডে রেখে তাঁর চিকিৎসা হবে বলে সমস্ত কাগজপত্র তৈরি হয়। সিরিয়াল নম্বর এনআরএসএম/পিভি২৫০০০২৩৮৩৩। রেজিস্ট্রেশন নম্বর এনআরএসএম/আরজি২৫০০২১৯৭৫৭। কিন্তু, এরপরে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। হাসপাতালের ইমার্জেন্সির সামনে চাতক পাখির মতো বেডের জন্য অপেক্ষা করেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু, হাসপাতালের এক চিকিৎসক এসে রোগীর পরিবারকে বলেন, ১০ হাজার টাকা দিলে বেড পাওয়া যাবে। এরপর পরিবারের লোকজন চিকিৎসককে অনুরোধ করে কিছু টাকা কম নিতে বলেন। এমনকী ৫ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও দেন গৃহবধূর স্বামী। কিন্তু, তাতেও রাজি হননি চিকিৎসক। একপ্রকার পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরেই অ্যাম্বুলেন্সে করে দেবীকে বারাসত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে রোগীর স্বামী তপন বলেন, এনআরএসের মতো হাসপাতালে যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে বলার কিছু নেই। এই ধরনের ঘটনা কী কারণে বুঝতে পারছি না। আমাদের কাছে চিকিৎসক বেডের জন্য ১০ হাজার  টাকা দাবি করেন। কিন্তু টাকা না দেওয়ায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়েছে স্ত্রীকে। আমিও চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। নিজেরই অবাক লাগছে। এনিয়ে হাসপাতালের এক পদস্থ কর্ত্রী জানান, কোন‌ও লিখিত অভিযোগ পাইনি। তাও যখন বলা হচ্ছে, নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)