এই সময়: রাজ্যের পুরসভাগুলির জঞ্জাল সাফাই নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরসভা এই কাজ করতে না পারলে কেন্দ্রীয়ভাবে জঞ্জাল সাফাইয়ের ব্যবস্থা কোনও সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। সোমবার শিল্প বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই একথা জানান। তাঁর মতে, এতে অন্তত জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজটা নিয়মিত হবে। এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন শহরে জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজে পুর দপ্তরের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে বেসরকারি এজেন্সি নিয়োগ করা হবে।
দক্ষিণ ভারতের বহু রাজ্য এই মডেল অনুসরণ করছে। কলকাতাতেও বেসরকারি এজেন্সিগুলি এ ধরনের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছিল। এক সময়ে এই এজেন্সিগুলির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা পুরসভার কর্মী দিয়ে অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে শহর সাফাই করবে। কিন্তু রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জন্য শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি।
রাজ্যের ছোট–বড় একাধিক পুর শহর থেকে জঞ্জাল সাফাই নিয়ে হাজারো অভিযোগ এসেছে নবান্নে। খোদ নবান্ন যেখানে, সেই হাওড়া পুর নিগমের জঞ্জাল সাফাই নিয়েও নাগরিকদের অভিযোগ রয়েছে। শুধু শহর নয়, জেলা ও মহকুমা হাসপাতালগুলিরও জঞ্জাল নিয়মিত পরিষ্কার হচ্ছে না। এই কাজের দায়িত্ব পুরসভা ও উন্নয়ন সংস্থাগুলির।
আলিপুরদুয়ারের একটি হাসপাতাল গত পাঁচ বছর ধরে নোংরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গত শুক্রবার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এনিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। হাসপাতাল চত্বরে বর্জ্য পড়ে থাকলে ডেঙ্গি বা অন্যান্য রোগ সংক্রমণের সম্ভবনা রয়েছে। বৈঠকে তিনি জেলাশাসকদের প্রশ্ন করেছিলেন, হাসপাতালগুলির বাইরে, ক্যাম্পাসে বর্জ্য কেন পরিষ্কার করা হচ্ছে না? এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয়ভাবে সংস্থা নিয়োগ করে রাজ্যের ছোট বড় সব শহরের জঞ্জাল সাফাইয়ের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘কিছু পুরসভা রাজ্যের অর্থ দপ্তরের অনুমতি না নিয়ে নিজেদের লোক নিয়োগ করছে। এতে ওই সব কর্মীরা ভবিষ্যতে বিপদে পড়বে। পুরসভার চেয়ারম্যান ও দায়িত্ব প্রাপ্তদের অনুরোধ অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া কাউকে চাকরি দেবেন না।’