• ‘ভুতুড়ে’ ভোটার বিজেপির কীর্তি, কমিশনকে ২৪ ঘণ্টা সময় তৃণমূলের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • একই এপিক নম্বরে দুই রাজ্যে ভোটার কার্ড। যাকে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার বলেই চিহ্নিত করেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই ইস্যুতে শুধু বাংলা নয় দিল্লিতেও ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ইস্যুতেই এবার তদন্তের দাবিতে সোমবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি সরব তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা-ডেরেকরা।

    এদিন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ, কীর্তি আজাদ এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন অভিযোগ করেন, এটা দিল্লির বিজেপি সরকারের কেলেঙ্কারি। বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে যোগসাজসের অভিযোগ করেছেন তাঁরা। ভুল স্বীকার করে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য কমিশনকে সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। শাসক শিবিরের হুঁশিয়ারি, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায় স্বীকার করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। নইলে আরও নথি প্রকাশ্যে আনা হবে। বিজেপিকে কোনওভাবে গণতন্ত্র নষ্ট করতে দেব না।’

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সাগরিকা ঘোষ বলেন, ‘বাংলার একজন ভোটারের ভোটার কার্ডের যে এপিক নম্বর, অন্য রাজ্যের আরেক ভোটারের সেই একই এপিক নম্বর। গাড়ির লাইসেন্স, আধার কার্ডের নম্বর যদি ডুপ্লিকেট করা সম্ভব নয় তাহলে এপিক নম্বর কীকরে ডুপ্লিকেট হয়? একে গেরুয়া শিবিরের কেলেঙ্কারি ছাড়া কী বলা যায়? পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ইস্যুর জোরালো সমালোচনা করেন।

    তৃণমূলের অভিযোগ তোলার পর মুখ খুলেছে বিজেপি শিবিরও। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সাগরিকা-ডেরেকদের প্রশ্নের জবাব দিয়ে বলেন, ‘গতকাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই নিয়ে বিস্তৃত জানিয়েছে। ভোটারদের এপিক নম্বর ইউনিক নম্বর নয়। প্যান কার্ড, আধার কার্ডের ক্ষেত্রে ইউনিক নম্বর হয়। গোটা দেশে একজনের প্যান কার্ড কিংবা আধার কার্ডের নম্বর একটাই হবে। অন্য কারও সেই নম্বর হবে না। কিন্তু এপিক নম্বর ইউনিক নয়। একেকটি রাজ্যের যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রয়েছেন, তিনি এপিক নম্বরের সিরিজ নির্ধারণ করেন। ফলে এপিক নম্বর এক হয়ে যেতে পারে।’এর আগে দিল্লির এই কনস্টিটিউশন ক্লাবেই রাহুল গান্ধী সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। মহারাষ্ট্র নির্বাচনের আগে কীভাবে লক্ষ লক্ষ ভোটার যুক্ত করা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।

    উল্লেখ্য, প্রথমবার রাজ্য বিধানসভায় ‘ভূতুড়ে’ ভোটার নিয়ে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের মেগা বৈঠকের মঞ্চ থেকেও একই ইস্যুতে সরব হন তৃণমূল নেত্রী। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিতকরণে কমিটিও গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ওই কমিটিতে রয়েছে দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)