সৌরভ চৌধুরী: একের পর এক কুড়ুলের কোপ। আর তাতেই মৃত্যু এক মহিলার। আহত ৩ জন মহিলা। ঝাড়গ্রামের বিনপুর থানার অন্তর্গত এড়গোদা অঞ্চলের ধুধুপাল গ্রামে। মঙ্গলবার রাত ১০ টার সময় পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে অশান্তি চরম আকার নেয়। অভিযুক্ত রঞ্জিত পাতর নামে এক ব্যক্তি তার নিজের বৌদিকে কুড়ুল দিয়ে মাথায়, হাতে আঘাত করতে থাকে। সেই ঘটনা দেখে আহত মহিলার মেয়ে এবং বৌমা ছুটে এলে তাদের মাথায় কুড়ুলের আঘাত করে। আটকাতে গেলে তাদের হাতেও কোপ মাড়ে কুড়ুলের। লুটিয়ে পড়ে মেয়ে আর বৌমা। প্রতিবেশীরা ছুটে এলে তাদের দিকে কুড়ুল নিয়ে তেড়ে যায় এবং প্রতিবেশী এক মহিলার হাতে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। এরপরই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতি।
তড়িঘড়ি এলাকার সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে মৃত রাধারানী পাতর-সহ আহত ৩ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় শিলদা প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। ডাক্তাররা দেখার পর রাধারানী পাতরকে মৃত বলে ঘোষণা করে এবং মৃতর মেয়ে অঞ্জলি দাস ছেলের বউ জয়িতা পাতর এবং প্রতিবেশী চম্পা সবর এই ৩ জনকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিশাল পুলিস বাহিনী-সহ বিনপুর থানার আইসিকে নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়। অভিযুক্ত রঞ্জিত পাতরকে নিরস্ত্র করে অস্ত্র সমেত গ্রেফতার করে। ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক।
উল্লেখ্য, সোমবার ঘরে ফিরে বাড়ির তিনজনের মৃতদেহ দেখে চমকে উঠলেন বনকর্মী। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের ওই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে এলাকায়। জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার মানবেন্দ্র দাস জানান, সবটাই তদন্ত করা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, তিনজনের মৃত্যু হল আর পাশের ঘরের লোকজন টের পেল না?
মাদারিহাট রেঞ্জ অফিসের ভেতরে সরকারি আবাসনে থাকতেন অস্থায়ী বনকর্মী বিনোদ ওঁরাও ও তার পরিবার। সংসারে ছিলেন মা, ভাই, স্ত্রী ও ১৪ বছরের ছেলে। আজ সকালে এমন ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায় এলাকায়।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News