বঁটি দিয়ে পিসিশাশুড়ির গোড়ালি কেটে ট্রলিতে ভরেছিল ফাল্গুনী ঘোষ এবং তার মা আরতি ঘোষ। মঙ্গলবার মধ্যমগ্রামে বীরেশপল্লি এলাকায় ফাল্গুনীর বাড়ির পাশে একটি পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে সেই অস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। এ দিন খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হয়।
পুলিশ জানায়, ফাল্গুনীর ভাড়াবাড়ির আগে বাঁ দিকে একটি পুকুর রয়েছে। পিসিশাশুড়ি সুমিতা ঘোষকে খুন করার পর দেহ টুকরো করে একটি ট্রলি ব্যাগে ঢোকানো হয়। দেহ টুকরো করার জন্য বাড়িতে ব্যবহৃত বঁটিই কাজে লাগিয়েছিল মা ও মেয়ে। পরে সেই বঁটি ফেলে দেওয়া হয় স্থানীয় পুকুরে।
মঙ্গলবার সেই পুকুরে ডুবুরি নামায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃত পিসিশাশুড়ির পোশাক-সহ একটি ব্যাগ বাড়ির আশেপাশে ফেলা হয়েছিল। তা উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। বারাসত জেলা আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের সাত দিনের জন্য মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। ফাল্গুনী এবং আরতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ বীরেশপল্লির ভাড়াবাড়িতে ফাল্গুনী এবং তার মায়ের সঙ্গে অশান্তি হয় সুমিতার। সেই সময়েই সুমিতাকে খুন করা হয়। এরপর তাঁর দেহ কেটে একটি ট্রলি ব্যাগে ভরে কুমোরটুলি ঘাটে ফেলতে গিয়েছিল মা ও মেয়ে। সেই সময় তাদের হাবভাব কিছুটা অস্বাভাবিক ঠেকে স্থানীয়দের। তাঁরা প্রথমে মা-মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের কথাবার্তা অসংলগ্ন লাগলে ওই ট্রলি ব্যাগ খুলে দেহটি দেখতে পান তাঁরা। পরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় ফাল্গুনী এবং তার মা আরতি।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সুমিতার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর কোনও সন্তানও ছিল না। সম্পত্তি এবং টাকা পয়সার লোভেই তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিলেন ফাল্গুনী। ঘটনার তদন্তে নেমে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।