• অবস্থান বদলে প্রশ্নে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
    আনন্দবাজার | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অবস্থান বদল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধু তার আগে ডিএলএড পাশ করা চাকরিপ্রার্থীরাই সুযোগ পাবেন, না কি টেট পাশের পরে যাঁরা ডিএলএড কোর্স করেছিলেন, তাঁদেরও সুযোগ দেওয়া হবে— এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছিল। শুনানি শেষ করে আজ সেই মামলায় রায় সংরক্ষিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তার আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পি এস নরসিমহা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

    ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরে প্রাথমিকের ১১,৭৬৫টি সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। তাতে ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা অংশ নিয়েছিলেন। মোট ৯,৫৩৩ জনকে নিয়োগ করা হয়। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের নির্দেশ ছিল, ডিএলএড বা ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশনের প্রশিক্ষণ না থাকলে প্রাথমিকের চাকরি মিলবে না। ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে যাঁদের ডিএলএড কোর্স করা ছিল না, তাঁরা ২০২০ থেকে ওই কোর্স করতে শুরু করেন। কিন্তু ২০২২-এর বিজ্ঞপ্তি জারির সময় তাঁরা প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হওয়ার শংসাপত্র হাতে পাননি। যদিও নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে তাঁরা প্রশিক্ষণের শংসাপত্র হাতে পেয়ে গিয়েছিলেন। এই দেরিতে ডিএলএড পাশ করা চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি পাবেন কি না, তা নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছিল। রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রথমে অবস্থান নিয়েছিল, দেরিতে যাঁরা ডিএলএড পাশ করেছেন, তাঁদের চাকরি দেওয়া উচিত। কিন্তু এখন পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত জানান, যাঁরা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারির আগে ডিএলএড পাশ করেছেন, শুধু তাঁরাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন।

    বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, এই অবস্থান বদল কেন? জয়দীপ বলেন, এক্ষেত্রে কেন-র কোনও উত্তর নেই। অবস্থান বদলটাই সিদ্ধান্ত। দেরিতে ডিএলএড পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়া যুক্তি দিয়েছেন, এখনও ২,২৩২টি পদ খালি রয়েছে। তা হলে কেন চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত হবেন? বিচারপতিরা এই মামলার রায় পরে ঘোষণা হবে বলে জানান। নিজস্ব সংবাদদাতা

  • Link to this news (আনন্দবাজার)