ট্রলি ব্যাগ কাণ্ডে অবশেষে উদ্ধার হল খুনে ব্যবহৃত বটি, ঘটনাস্থলে মা ও মেয়ে...
আজকাল | ০৪ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যমগ্রাম-কাণ্ডে অবশেষে মঙ্গলবার খুনে ব্যবহৃত সেই বটি উদ্ধার হল। বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধার করা হল খুনের ব্যবহৃত সেই বটি। তদন্তের স্বার্থে মা আরতি ঘোষ ও মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষকে পুলিশ ঘটনাস্থলে নিয়ে এসেছে। মা ও মেয়ে কোথায় সেই বটি ফেলেছে তা বলে দেয়। তারপর ডুবুরি ১৫ মিনিটের মধ্যে বটি উদ্ধার করে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি হাতুড়িও। যে ছুরি দিয়ে সুমিতা দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছিল তা এখনও উদ্ধার উদ্ধার হয়নি। চলছে সেই ছুরির খোঁজ।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ট্রলি ব্যাগ-সহ আরতি ঘোষ ও ফাল্গুনী ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে থাকা ট্রলি ব্যাগে সুমিতা ঘোষ নামে এক প্রৌঢ়ার মুন্ডু কাটা দেহ উদ্ধার হয়। নিহত সুমিতা সম্পর্কে ফাল্গুনের পিসি শাশুড়ি হন। পরের দিন রাতে কলকাতা পুলিশ মুখ ঢাকা অবস্থায় ধৃত আরতির মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষকে মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লিতে নিয়ে আসে। সঙ্গে ছিল সিএফএসএলের ফরেন্সিক টিমও। ফাল্গুনীর কাছে ভাড়া বাড়ির চাবি থাকায় সেটি দিয়ে দরজা খুলে তদন্তকারীরা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেন। ফরেনসিক দলের সদস্যরা খুনের ঘটনাস্থল থেকে রক্তের বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন। নমুনা সংগ্রহের পর সেখান থেকে তদন্তকারীরা বেরিয়ে যান।
ওই দিন রাতে তদন্তের মাঝে ফাল্গুনীকে ঘর থেকে বাইরে এনে পুলিশ বাড়ি লাগোয়া পাশের একটি ফাঁকা জমিতে তল্লাশি শুরু করে। ধৃতকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, খুনের পর আরতি ও তার মেয়ে ফাল্গুনী ফাঁকা ওই জমিতে রক্তমাখা ইটের টুকরো ফেলে দিয়েছিলেন। রাতে বাড়ি লাগোয়া ফাঁকা জমি থেকে পুলিশ তা বাজেয়াপ্ত করে। সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া এই ইটের টুকরো দিয়েই সুমিতা ঘোষের মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। তারপর দেহ টুকরো টুকরো ট্রলি ব্যাগে ভরে মা ও মেয়ে কুমারটুলির গঙ্গার ঘাটে নিয়ে গিয়েছিলেন।
সুমিতার দেহ টুকরো টুকরো করার সময় যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল রাতে পুলিশ তার খোঁজ করেছিল। সেদিন তা অবশ্য পাওয়া যায়নি। সিএফএসএলের টিম বীরেশপল্লির ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল। প্রায় এক সপ্তাহ পরে মঙ্গলবার খুনে ব্যবহৃত বটি ও ছুরির খোঁজে পুলিশ ফাল্গুনী ও আরতিকে নিয়ে মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লি এলাকায় এল। কলকাতা পুলিশ ও মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত করছে।