ভারত-বাংলাদেশ ‘গঙ্গা জল বন্টন চুক্তি’-র ভবিষ্যৎ কী? ফরাক্কায় শুরু যৌথ সমীক্ষার কাজ ...
আজকাল | ০৪ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৬ সালে শেষ হতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ ‘গঙ্গা জল বন্টন চুক্তি’র মেয়াদ। এই চুক্তির ভবিষ্যৎ কী? পুরোটাই নির্ভর করছে আগামীদিনে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় দুই দেশের উচ্চ স্তরের ছ’জন প্রতিনিধি গঙ্গা নদী এবং ফিডার ক্যানেলে জলস্তর পরিদর্শন করেন। আগামী ৬ এবং ৭ তারিখ কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দুই দেশের নদী কমিটির ৮৬তম যৌথ বৈঠক। সেখানেই নির্ধারিত হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ এই চুক্তির ভবিষ্যৎ। সোমবার রাতে বাংলাদেশের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মহম্মদ আব্দুল হোসেনের নেতৃত্বে কলকাতা থেকে ট্রেনে ফরাক্কা আসেন।
মঙ্গলবার সকালে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা স্টিমারে চেপে গঙ্গা নদীর ডাউনস্ট্রিমে জলের গতি, গভীরতা সহ বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। জানা গিয়েছে, ভারতের প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্র সরকারের ‘রিভার ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট’-এর যুগ্ম কমিশনার শরৎ চন্দ্র। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ফরাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার আর ডি দেশপান্ডে সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিক। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের জন্য বিশেষ সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে। তবে এই সমীক্ষা চলাকালীনই স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যাতে নতুন করে এই চুক্তির পুনর্নবীকরণ না হয়।
১৯৭২ সালে ভারত-বাংলাদেশ ‘জয়েন্ট রিভার কমিশন’ গঠিত হয়েছিল দুই দেশের পারস্পরিক সমস্যা সমাধানের জন্য। ১৯৯৬ সালে কেন্দ্রে দেবেগৌড়া সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের সঙ্গে ৩০ বছরের জন্য ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গা জল বন্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে আগামী বছর। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা মহম্মদ আব্দুল হোসেন বলেন, ‘এটি একটি রুটিন বৈঠক। প্রতিবছর দুই দেশের প্রতিনিধিদের একটি যৌথ ‘ভিজিট’ হয়। এটাও তারই অংশ। আগামী ৬ তারিখ কলকাতায় এই গঙ্গা চুক্তির বাস্তবায়ন সংক্রান্ত একটি বৈঠক রয়েছে এবং ৭ তারিখ টেকনিক্যাল কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের তরফে ফরাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার আর ডি দেশপান্ডে জানান, ‘ডিসেম্বর মাসে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী বছরে একবার বাংলাদেশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা নিরীক্ষণের জন্য ফরাক্কায় আসেন। এটি একটি রুটিন বৈঠক’।