• গ্রেপ্তার সুতন্দ্রার গাড়ি চালক, মেয়ের মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুললেন মৃতার মা...
    আজকাল | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • মিল্টন সেন: ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন পানাগড় কাণ্ডে মৃত সুতন্দ্রা চ্যাটার্জির গাড়িচালক। সোমবার রাতে ভদ্রেশ্বরের দাস পাড়া থেকে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশের সহযোগিতায় সুতন্দ্রার গাড়ির চালক রাজদেও শর্মাকে গ্রেপ্তার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। ধৃত গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে ১০৫, ১২৫(এ), ২৮১, ৩২৪(৫) বিএনএস ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে পানাগড়ের কাছে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চন্দননগরের নৃত্যশিল্পী এবং এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার সুতন্দ্রা চ্যাটার্জির।

    শুরুতে দাবি করা হয়েছিল ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। আবার সেই দাবি থেকে সরে আসা। লাগাতার বয়ান বদল সন্দেহ সৃষ্টি করেছিল। গাড়ি চালক রাজদেও শর্মা সহ সেই গাড়িতে থাকা সুতন্দ্রার তিন সঙ্গীর দাবি, ইভটিজিং করা হচ্ছিল। পরবর্তী সময়ে আবার বয়ান বদল করে রাজদেও। সে জানায়, ইভটিজিং হয়নি। গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ার সময় সুতন্দ্রা বলেছিল, সাদা গাড়িকে ধাওয়া করে ধরতে। দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। বয়ান বদল দেখে সুতন্দ্রার মা ১ মার্চ চন্দননগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

    চন্দননগর থানা থেকে সেই অভিযোগ কাঁকসা থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী চ্যাটার্জি দাবি করেন, সুতন্দ্রার গাড়িতে যারা ছিল আর বাবলু যাদবের গাড়িতে যারা ছিল সবাইকে তদন্তের আওতায় আনা হোক। মঙ্গলবার তিনি দাবি করেছেন, এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল অথচ গাড়িতে থাকা একটাও এয়ার ব্যাগ খুলল না কেন? গাড়িতে পাঁচ জন থাকা সত্ত্বেও সুতন্দ্রা বাদে বাকি কারোর চোট লাগেনি। সামনে বাঁদিকের আসনে বসেছিলেন সুতন্দ্রা। চালক অক্ষত রয়েছেন কিন্তু চালকের পাশে সিট বেল্ট লাগানো অবস্থায় বসে থাকা তাঁর মেয়ের মৃত্যু হলো কীভাবে? ফোনই বা ফ্লাইট মোডে গেল কীভাবে? পুলিশ তদন্ত করে এই বিষয়গুলো সামনে আনুক, এটাই দাবি করেছেন তিনি। 
  • Link to this news (আজকাল)