• ট্যাংরার পর এবার কসবার হালতুতে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু, উদ্ধার স্বামী, স্ত্রী, শিশুসন্তানের ঝুলন্ত দেহ ...
    আজকাল | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ট্য়াংরা কাণ্ডে তোলপাড় অবস্থা। এরই মধ্যে কলকাতায় ফের একই পরিবরারের তিন জন সদস্যের রহস্য মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, কসবার হালতুতে বাবা, মা ও শিশু পুত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, হালতুর পূর্বপল্লী এলাকার একটি বাড়ির একতলা থেকে মঙ্গলবার তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়িতে সপরিবার থাকতেন ৪০ বছর বয়সি সোমনাথ রায়। সোমনাথ ছাড়াও ওই বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা (৩৫) এবং আড়াই বছরের ছেলে রুদ্রনীল। মঙ্গলবার এই তিন জনকেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

    খবর পেয়েই হালতুর পূর্বপল্লীর ওই বাড়িতে পৌঁছয় কসবার থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। 

    কী কারণে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু? তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে। তদন্তে নেমে পুলিশ মৃতদের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে। যদিও তার বয়ান অবশ্য এখনও জানা যায়নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটা আত্মহত্যার ঘটনা।

    প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পেশায় অটো চালক সোমনাথ রায় আর্থিক কষ্টে ভুগছিলেন। বাড়ির সামনে পাওনাদারদের আনাগোনা বাড়ছিল। আগে তাঁর একাধিক গাড়ি ছিল, কিন্তু সম্প্রতি সেসব বেচে এখন একটা নতুন অটো কিনেছে, সেটাই সে এখন সে চালাতো। সেই চাপ থেকে নিষ্কৃতি পেতেই পরিবারকে নিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন সোমনাথ রায়। আবার প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, সোমনাথ প্রায়ই বলতেন 'আমি বাঁচবো না মরে যাব।' জমির বিবাদের তথ্যও সামনে আসছে। কেউ কেউ কালো জাদুর কথা উল্লেখ করেছেন। এক আত্মীয়ের দাবি, পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল সোমনাথবাবুর। এই মৃত্যুর নেপথ্যে সেই অশান্তির কারণও থাকতে পারে। যা নিয়ে ক্রমাগত রহস্যঘনীভূত হচ্ছে। তবে একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধারের নেপথ্যে আসল কারণ কী, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     
  • Link to this news (আজকাল)