মামা-মামির সঙ্গে বিবাদই কারণ? কসবা কাণ্ডে তিন-মৃত্যুতে আটক তিন
আজকাল | ০৪ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ট্যাংরা কাণ্ডের রেশ কাটেনি এখনও। দিনে দিনে সামনে আসছে রহস্য-মৃত্যুর কারণ। তার মাঝেই একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার কসবার হালতুতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হালতুর পূর্বপল্লী এলাকার একটি বাড়ির একতলা থেকে মঙ্গলবার তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়িতে সপরিবার থাকতেন ৪০ বছর বয়সি সোমনাথ রায়। সোমনাথ ছাড়াও ওই বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা (৩৫) এবং আড়াই বছরের ছেলে রুদ্রনীল। মঙ্গলবার এই তিন জনকেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সোমনাথের দেহের সঙ্গে তাঁর শিশু সন্তান বাঁধা অবস্থায় ছিল বলেও জানা গিয়েছে।
কিন্তু এই চরম সিদ্ধান্ত বেছে নেওয়ার কারণ কী? সুমিত্রার পরিবার এই ঘটনায় শুরু থেকেই আত্মীয়দের দিকে আঙুল তুলেছিল। অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, মানসিক অশান্তিই এই চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণের পিছনে মূল কারণ। ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর তেমনটাই। জানা গিয়েছে প্রাথমিক তদন্তের পর, পুলিশ সোমনাথের মামা-মাসি-মামিকে আটক করেছে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পেশায় অটো চালক সোমনাথ রায় আর্থিক কষ্টে ভুগছিলেন। বাড়ির সামনে পাওনাদারদের আনাগোনা বাড়ছিল। আগে তাঁর একাধিক গাড়ি ছিল, কিন্তু সম্প্রতি সেসব বেচে এখন একটা নতুন অটো কিনেছে, সেটাই সে এখন সে চালাতো। সেই চাপ থেকে নিষ্কৃতি পেতেই পরিবারকে নিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন সোমনাথ রায়। আবার প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, সোমনাথ প্রায়ই বলতেন 'আমি বাঁচবো না মরে যাব।' জমির বিবাদের তথ্যও সামনে আসছে।