আত্মহত্যার আগে অটোতে টাকা রেখে যান সোমনাথ! আটক মামা-মামি-মাসি
আজ তক | ০৪ মার্চ ২০২৫
কসবায় শিশুপুত্রকে সঙ্গে নিয়ে দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনায় নয়া মোড়। মৃত্যুর আগে অটোতে ২ হাজার টাকা রেখে গিয়েছিলেন সোমনাথ রায়। দাবি করছেন স্থানীয় এক অটোচালক। রামলালবাজার-গড়িয়া রুটে অটো চালাতেন সোমনাথ। সেই রুটেরই এক অটোচালক জানিয়েছেন, সোমনাত মৃত্যুর আগে তাঁর অটোতে ২ হাজার টাকা রেখে গিয়েছিলেন।
ওই অটোচালক জানান, সোমনাথ নিজে অটো চালাতেন। আবার ভাড়াও খাটাতেন। যাঁকে ভাড়া দিতেন তাঁকে সোমবার চাবি দেননি সোমনাথ। তবে পরে সেই অটো থেকে চাবি ও ২ হাজার টাকা পাওয়া যায়। সোমনাথ কেন টাকা রেখে গেলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তাহলে কি কারও কাছে টাকা ধার করেছিলেন সোমনাথ? আর তা শোধ করার জন্যই মৃত্যুর আগে টাকা রেখে গেলেন? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমনাথ বা তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা খুব একটা মিশুকে ছিলেন না। সোমনাথের সঙ্গে পাড়া-প্রতিবেশীদের দু-চার কথা হত, সুমিত্রা কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। বাড়ি থেকেও কম বেরোতেন। তবে সোমনাথের দেনা ছিল একসময়।
প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, সোমনাথ-সুমিত্রার ছেলে রুদ্রনীল ছোটো থেকেই অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা খরচ করেছিলেন দম্পতি। টাকা ধার করতে হয়েছিল। এমনকী অটোও বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন সোমনাথ। যদিও পরে দেনা শোধ করে দেন। তারপরও কেন সোমনাথ ও তাঁর স্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তা জানা যাচ্ছে না।
শিশু পুত্রকে নিয়ে সোমনাথ ও তাঁর স্ত্রী কেন আত্মহত্যা করলেন তার স্বপক্ষে মামা-মামিদের সঙ্গে পারিবারিক বিবাদের তত্ত্বও সামনে আসছে। সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে সম্পত্তির বিবাদের কথা উল্লেখ করে মামা-মামিদের কথা উল্লেখ করে গিয়েছেন সোমনাথ।
অভিযোগ, মামা-মামি ও মাসি সোমনাথের উপর মানসিক নির্যাতন চালাতেন। জমির দখল নিয়ে হুমকি দিতেন। এমনকী তাদের উৎখাতের চেষ্টাও করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমনাথের মামা-মামি ও মাসিকে আটক করে কসবা থানার পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে মনে করছে পুলিশ।