মনোজ মণ্ডল: টাকার জন্য শ্বশুর-শাশুড়িকে লোক ভাড়া করে খুন করায় জামাই। ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল মেয়েও। সেই ঘটনায় হাবড়ার এক দম্পতিকে যাবজ্জীন কারাদণ্ডের আদেশ দিল বারাসাত জেলা আদালত।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার টুনিঘাটা লন্ডনপাড়ার বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় প্রাক্তন সেনাকর্মী রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী লীলারানীর দেহ। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে দম্পতির মাথা ও বুকে গুলি করা হয়। ঘটনার পরই তদন্তে নামে পুলিস। গ্রেফতার করা হয়ে রামকৃষ্ণ মণ্ডলের ছোট মেয়ে নিবেদিতা সাধু ও জামাই বান্টি সাধুকে। তাদের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় বান্টির সাকরেদ অজয় দাসকে।
পুলিসের জেরায় বান্টি স্বীকার করে নেয়, বাজারে তার প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা দেনা হয়ে যায়। পাওনাদারের চাপে বাড়িতে টিকতে পারছিল না সে। এরকম এক পরিস্থিতিতে শ্বশুর ও শাশুড়িকে টাকার জন্য চাপ দেয় বান্টি। কিন্তু রামকৃষ্ণবাবু জানিয়ে দেন তাঁর কাছে অত টাকা নেই। টাকার পাওয়ার আশা ভেস্তে যেতেই শ্বশুর-শাশুড়িকে খুন করার পরিকল্পনা করে ফেলে বান্টি। তার পরেই তারা অজয় দাসকে ভাড়া করে।
সব সাক্ষপ্রমাণ যাচাই করে গতকাল বান্টি, নিবেদিতা ও অজয়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। অজয়ের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার কারণ তাকে আরও ৫ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।