পিয়ালি মিত্র ও বিক্রম দাস: কসবা, মধ্যমগ্রাম, বেহালা, ট্যাংরার পর এবার হালতু। হালতুতে ট্যাংরাকাণ্ডের ছায়া। একই পরিবারের ৩ জনের রহস্যমৃত্যু হালতুতে। হাড়হিম ঘটনা হালতুতে!বাবা, মায়ের ঝুলন্ত দেহের সঙ্গেই উদ্ধার আড়াই বছরের সন্তানের নিথর দেহ। বাবার সঙ্গে বাধা অবস্থায় ছিল আড়াই বছরের শিশুপুত্রের দেহ। একই ঘর থেকে মেলে ৩ জনের দেহ।
সন্তানকে খুন করেই কি আত্মঘাতী দম্পতি? কারণ, ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে সুইসাইড নোট। সুইসাইড নোটে ২ জনের নাম উল্লেখ। সম্পত্তিগত বিবাদ চলছিল বলে মনে করা হচ্ছে। মৃতদের নাম সোমনাথ রায় (৪০), সুমিত্রা রায় (৩৫) ও রুদ্রনীল রায় (২.৫)। সোমবার বিকালে শেষ দেখা যায় সন্তান সহ এই দম্পতিকে। তারপরই এদিন ঘরের মধ্যে থেকে মিলল স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের নিথর দেহ। স্বামী-স্ত্রীর দেহ পাশাপাশি ঝুলছিল। বাবা সোমনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহের সঙ্গে বাধা অবস্থায় ছিল শিশুপুত্র রুদ্রনীলের স্পন্দনহীন দেহ।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ট্যাংরার মতোই এক্ষেত্রেও বাড়িতে আসছিলেন পাওনাদারেরা। অনেক ঋণ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমনাথ নিজের অপারেশন জন্য টাকা ধার নিয়েছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে। দেনার দায়েই একমাত্র ছেলেকে খুন করে বাবা-মা নিজেরা আত্মঘাতী কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে হোমিসাইড ও ফিংগারপ্রিন্ট এক্সপার্ট টিম। গত দু-সপ্তাহে এই নিয়ে চতুর্থ ঘটনা।
উল্লেখ্য, ট্যাংরাকাণ্ডে স্ত্রী-বউদি ও নিজের মেয়েকে খুনের দায়ে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর, গতকাল-ই দে পরিবারের ছোটো ভাই প্রসূন দে-কে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ব্যবসায় মন্দা, আর্থিক টানাপোড়েন, বাজারে কোটি কোটি টাকা দেনার দায়ে ২ নাবালক-নাবালিকা সহ পরিবারের ৬ জন-ই আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন ট্যাংরায়। ৩ জন মারা যান। ৩ জন বেঁচে আছেন।
এরপর গত শুক্রবার বেহালার অফিস ঘরে উদ্ধার হয় অটিজম আক্রান্ত মেয়ে ও বাবার ঝুলন্ত দেহ। অবসাদ থেকেই মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে বাবা-মেয়ে দুজনেই আত্মঘাতী হন বলে মনে করা হচ্ছে। ওদিকে মধ্যমগ্রামে উদ্ধার হয় মা-মেয়ের দেহ। বিছানায় পড়েছিল ৫ বছরের মেয়ের প্রাণহীন দেহ। আর রান্নাঘর থেকে মেলে মায়ের দেহ। মেয়েকে খুন করে মা আত্মঘাতী হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা। এখানেও উঠে আসে, টাকা ধার নেওয়ার কথা। তারপরই আবার হালতুর এই ঘটনা।
Disclaimer: আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ...
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News