• আহিরীটোলা কাণ্ডে সুমিতা ঘোষ খুনে মধ্যমগ্রামের পুকুর থেকে উদ্ধার খুনে ব্যবহৃত বঁটি
    প্রতিদিন | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: আহিরীটোলা ট্রলিব্যাগ কাণ্ডে পিসিশাশুড়ি সুমিতা ঘোষ খুনের ঘটনায় উদ্ধার হল ব্যবহৃত অস্ত্র। মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লির পুকুর থেকে উদ্ধার হল খুনে ব্যবহার করা বঁটি। আজ মঙ্গলবার সকালে ধৃত ফাল্গুনী ঘোষ ও তার মা আরতি ঘোষকে নিয়ে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ সেখানে যায়। তদন্তকারীদের সঙ্গে ডুবুরিও ছিল। পুকুরে ডুবুরি নেমে সেই অস্ত্র উদ্ধার করে।

    পিসি শাশুড়ি সুমিতা ঘোষকে খুনের পর তাঁর দেহ তিন টুকরো করা হয়েছিল। নীল রঙের ট্রলিতে সেই মৃতদেহের খণ্ডাংশ ভরা হয়েছিল। মৃতার পা ট্রলিতে ভরতে সমস্যা হওয়ায় বঁটি দিয়ে দুটি পা কাটা হয়। দেহের অন্যান্য অংশও খণ্ড করার জন্য সেই বঁটি ব্যবহার হয়েছিল বলে খবর। সেই কাজের পর বাড়ির ঠিক উলটো দিকের পুকুরে সেই বঁটি ও একটি হাতুড়ি ফেলে ফাল্গুনী ও আরতি। জেরার মুখে ধৃত মা-মেয়ে সেই কথা জানিয়েছিল বলেই খবর।

    এরপরই সেই অস্ত্র উদ্ধারের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এদিন সকালে ফাল্গুনী ও আরতিকে ওই এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুকুরের কোথায় অস্ত্র ফেলেছে, সেই জায়গা তারা দেখিয়ে দেয়। এরপরই পুকুরে ডুবুরি নামানো হয়। মিনিট ১৫-এর মধ্যে উদ্ধার হয় ওই বঁটি ও একটি ছোট হাতুড়ি। খুনে আরও ছুরিও ব্যবহার হয়েছে বলে খবর। সেই ছুরিরও খোঁজ চলছে। ওই খুনের পর দেহ বাড়িতে রেখে জায়গা রেইকি করতে বেরিয়েছিল মা-মেয়ে। শোভাবাজারের কাছে গঙ্গায় মৃতদেহ ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো গত মঙ্গলবার সকালে নীল ট্রলি ব্যাগে দেহাংশ ভরে ট্যাক্সি করে আহিরীটোলার গঙ্গার ঘাটে যায় তারা।

    ট্রলি ব্যাগ গঙ্গায় ফেলার সময় ওই এলাকার সাধারণ মানুষের সন্দেহ হয়। তাদের আটকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে ট্রলিব্যাগ খুলতেই ওই ভয়াবহ ঘটনা সামনে আসে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে সুমিতাকে। সেই ইট আগেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। মা-মেয়েকে নিয়ে বীরেশপল্লিতে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে খবর।
  • Link to this news (প্রতিদিন)