অমিত সিং দেও, মানবাজার: ১৫০ টাকা খরচ করে লটারির টিকিট কিনেছিলেন পুরুলিয়ার হুড়া এলাকার এক যুবক। ভাবতেই পারেননি নিমেষে খুলে যাবে কপাল। কপালগুণে লটারি কেটে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কোটিপতি হলেন ওই যুবক। তবে একই সঙ্গে ভয়ও দানা বাঁধে মনে। টিকিট নিয়ে গোটা রাত থানাতেই কাটান তিনি।
পুরুলিয়ার হুড়ার আমঘাটা গ্রামের বছর বাসিন্দা পার্থজিৎ মাহাতো ও তাঁর দাদা কৃপাসিন্ধু। পার্থজিৎ পেশায় একজন ঠিকাদার। তিনি জানান, “শনিবার দুপুরে হুড়ার কুলগোড়ায় দেড়শো টাকা দিয়ে নাগাল্যান্ড রাজ্যের ডিয়ার লটারি কিনেছিলাম। ওইদিন রাত ৮ টার খেলায় আমার টিকিটে এক কোটি টাকা বাধে।” তার কথায়, “বেশি টাকা পুঁজি না থাকায় এতদিন ছোট খাটো সরকারি কাজ করতাম। এই প্রাইজ পাওয়ার পর বড় কাজ করতে পারব ভেবে ভীষণ খুশি হয়েছি।”
তবে খুশির মধ্যেই ভয় চেপে বসেছিল তাঁর মনে। যদি কেউ কেড়ে নেয় লটারির ওই টিকিট। তাই তিনি এক বন্ধুর চার চাকার গাড়িতে করে দাদা কৃপাসিন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত হুড়া থানায় পৌঁছান। সেখানে ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি জানানোর পরে নিয়ম মোতাবেক সেটি থানার মালখানায় সেফ কাস্টডিতে রাখা হয়। পাশাপশি ওই যুবক এবং তাঁর দাদাও সেখানে থেকে যান। তবে ওই রাতে তাঁরা আর খাওয়াদাওয়া করেননি। একদিকে খুশি অন্যদিকে ভয়ে না খেয়েই বিনিদ্র রজনী পার করেন পার্থজিৎ।