হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন যাদবপুরের ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়। এসএফআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির তলায় পিষ্ট হয়েছেন। এসএফআইয়ের মিছিলের সামনে ব্যানারেও লেখা, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙা ব্রাত্য বসুর গাড়ির চাকা।
এদিকে সেই ইন্দ্রানুজের বাবাকে ফোন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন ইন্দ্রানুজের বাবা। তবে ইন্দ্রানুজের বিরুদ্ধে যে মামলা রয়েছে সেটা তোলা হবে কি না সেব্যাপারে মন্ত্রীর কাছ থেকে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি বলে তাঁর বাবা জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি দেখা হবে বলে কার্যত আশ্বাস মিলেছে মন্ত্রীর তরফে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ইন্দ্রানুজের পরিবারের তরফে।
এবার মুখ খুললেন ইন্দ্রানুজের মা। তিনি ইন্দ্রানুজকে দেখতে যান এদিন। তিনি এবিপি আনন্দ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ছেলের খবর জানার পরে নিজে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। যে রাজনৈতিক দলই করুক তা সে আমার ছেলেই হোক বা অন্যের ছেলে হোক এভাবে রক্তাক্ত হওয়াটা বাঞ্চনীয় নয়। আমি রাজনীতির লোকও নই। শিক্ষাজগতের মানুষ। কোনও রাজনৈতিক তরজায় যাব না। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী কাল ফোন করেছিলেন বাবাকে। উনি নিজে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আমাকে বলতে বলেছেন। সহানুভূতির সঙ্গেই কথা বলেছেন। ইন্দ্রানুজও যেদিন দুর্ঘটনা হয় সেদিন ফোনে কথা হয়েছিল। সেদিনও বলেছিল উনি ইচ্ছাকৃতভাবে নয়, এটা কেউই চায়নি। জানিয়েছেন ইন্দ্রানুজের মা।
এখানেই প্রশ্ন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য বার বার দাবি তুলছেন, স্কুটি তত্ত্বকে হাজির করছেন, এমনকী মঙ্গলবারও তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে একই দাবি করেন যে মন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় আহত হননি ইন্দ্রানুজ। তবে ইন্দ্রানুজের মা অবশ্য় বেশ জোরের সঙ্গেই বলেছেন ধাক্কাটা ওই গাড়িতেই লেগেছে। তবে তিনি রাজনীতির কোনও প্রসঙ্গ আনতে চাননি। কারোর নামও করেননি।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা হয়নি। ‘ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে চলে যাওয়া না অ্য়াক্সিডেন্ট, আমি এটাকে অ্য়াক্সিডেন্ট হিসাবেই দেখছি।’জানিয়েছেন ইন্দ্রানুজের মা।
এদিকে সোমবার দুপুরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি প্রথম বর্ষের ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের বাবা অমিত রায়কে ফোন করেন শিক্ষামন্ত্রী। ফোন করে শনিবারের ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।