• ঝকঝকে হবে পুর এলাকা, এবার আবর্জনা সাফাই নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • বিধানসভা ভোটের আর মাত্র একবছর বাকি। তার আগে শহরের জঞ্জাল সাফাই নিয়ে এবার বড় নির্দেশ দিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার কেন্দ্রীয়ভাবে জঞ্জাল সাফাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। সূত্রের খবর এমনটাই। কার্যত পুর এলাকায় জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য সরাসরি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে দায়িত্ব দিয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। 

    আসলে রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকাতেই জঞ্জাল সাফাই নিয়ে নানা অভিযোগ। বহু জায়গাতেই জঞ্জাল ঠিকঠাক করে পরিষ্কার করা হয় না। যার জেরে দূষণ ছড়ায়। সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। পুরসভাগুলিকে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের নির্দিষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেগুলি আদৌ কতটা কার্যকরী হয় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বার বার এনিয়ে সতর্ক করার পরেও পুরসভার ভূমিকা নিয়ে নানা সময়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। 

    অর্থাৎ রাজ্যের পুর দফতর সরাসরি পুর এলাকায় আবর্জনা সাফাইয়ের দায়িত্ব নেবে। কোথায় আবর্জনা জমা হচ্ছে, সেই আবর্জনা কীভাবে নিয়মিত পরিস্কার করা যায় তার সব দায়িত্ব নেবে রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর। 

    বিভিন্ন পুর এলাকায় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও রাজ্যের একাধিক পুর এলাকায় আবর্জনা সাফাইয়ের বিষয়টি যথাযথ নয়। এনিয়ে বার বার বিভিন্ন মহলের তরফে বলা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ বিশেষ কিছু হয়নি। এমনকী সীমিত পরিকাঠামো দিয়ে সবটা করা সম্ভব নয়, এমন নানা অজুহাতও অতীতে শোনা গিয়েছে। তবে এবার আরও ঝা চকচকে হবে পুর এলাকায়। পুর এলাকায় সৌন্দর্যায়ন করা হবে। আবর্জনা সাফাই নিয়ে নাগরিকদের যে নানান ধরনের অভিযোগ সেটা এবার কমবে অনেকটাই। 

    সূত্রের খবর, বারাসতের পাশাপাশি রাজ্য়ের একাধিক পুর এলাকায় আবর্জনা সাফাই যথাযথ হচ্ছে না বলে খবর গিয়েছিল মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে। তারপরই এই সিদ্ধান্ত।

    তবে অনেকের মতে, বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগে শহরাঞ্চলের ভোট নিশ্চিত করতে আগাম মাঠে নামছে তৃণমূল। তার সমস্ত ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। মূলত একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে শহরাঞ্চলে পিছিয়ে থাকে ঘাসফুল। তবে কি এবার আবর্জনা নিয়ে আর যাতে বাসিন্দাদের মধ্য়ে কোনও অভিযোগ না থাকে সেকারণেই আবর্জনা পরিষ্কারের দায়িত্ব কেন্দ্রীয়ভাবে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের হাতে দেওয়া হচ্ছে? 

    তবে বাসিন্দাদের মতে, যেটাই হোক তাতে আখেরে লাভ হবে সাধারণ মানুষের। কারণ পুর এলাকায় আগের থেকে আরও সুন্দর করে আবর্জনা সাফাই হবে। যার সুফল পাবেন সাধারণ মানুষ। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)