• বাড়ি থেকে উদ্ধার স্বামী, স্ত্রী, আড়াই বছরের সন্তানের দেহ, ট্যাংরার পরে কসবা!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ মার্চ ২০২৫
  • একের পর এক মৃত্যু। ফের একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার। ফের পরতে পরতে রহস্য। ট্যাংরার ঘটনার রেশ এখনও ফুরোয়নি। তার আগেই কসবার হালতুর একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহ। একই বাড়িতে স্বামী, স্ত্রী ও তাদের আড়াই বছরের পুত্রের দেহ উদ্ধার। 

    নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

    সূত্রের খবর মৃতদের নাম সোমনাথ রায় ও তাঁদের আড়াই বছরের ছেলে রুদ্রনীল। তাদের তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

    সোমনাথ রায় পেশায় অটোচালক ছিলেন। ওই বাড়িতেই পরিবার নিয়ে থাকতেন। কিন্তু কেন এভাবে তাদের মৃত্যু হল তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না পাড়া প্রতিবেশীরা। 

    সূত্রের খবর, সোমনাথের কিছুটা আর্থিক সংকট ছিল। তবে সেকারণে গোটা পরিবারকে নিয়ে এভাবে কেন চরম সিদ্ধান্ত নিতে হল বুঝতে পারছেন না স্থানীয়রা। 

    ঘটনার খবর পেয়েই স্থানীয়রা বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে যান। কসবা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। একে একে দেহগুলিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে। একটি  নোটও মিলেছে বলে খবর। তবে তাতে কী লেখা তা জানা যায়নি। 

    তবে আত্মীয়দের একাংশের অনুমান সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এক আত্মীয়র সঙ্গে সোমনাথের কিছুটা সমস্য়া চলছিল। তার পরিণতিতেই এই কাণ্ড কি না সেটা পরিস্কার নয়। 

    কসবার  একটা বাড়ি একতলা থেকে মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়েছে তিনজনের দেহ। ওই বাড়িতেই সপরিবারে থাকতেন সোমনাথ রায়। স্থানীয়দের একাংশের মতে, কিছুটা আর্থিক সমস্য়ার মধ্য়ে ছিলেন সোমনাথ। কিছু জায়গায় ধারবাকি হয়ে গিয়েছিল। পাওনাদাররা মাঝেমধ্য়ে এসে তাগাদা দিতেন। প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, সোমনাথ মাঝেমধ্য়ে খুব চিন্তাগ্রস্ত থাকতেন। আগে একাধিক গাড়ি ছিল। কিন্তু সেসব তিনি বেচে দেন। পরে একটা অটো কেনেন। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে এটা আত্মহত্যার ঘটনা।

    এদিকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ট্যাংরার অটল শূর রোডের একটা বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তিনটি মৃতদেহ। দুই বধূ ও এক কন্যার দেহ। এরপর সেই পরিবারের অপর তিন পুরুষ সদস্যকে পাওয়া যায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত একটি গাড়ির ভেতর থেকে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে তাদেরও আর্থিক সমস্যা মারাত্মক আকার নিয়েছিল। 

    তবে সূত্রের খবর, ছোটবেলা থেকেই পুত্রের শরীরে নানা সমস্যা ছিল। তার জেরেও কিছুটা মনমরা ছিলেন তিনি। সেই সঙ্গেই সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ।তার জেরেই কি এই মারাত্মক সিদ্ধান্ত? দেওয়ালে লেখা নোটেও তারই ইঙ্গিত। 

    হেল্পলাইন

    সুইসাইড প্রিভেনশন ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন- ৮০৪৭০৯৬৩৬৭
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)