চলতি মাসের ১৪মার্চ দোল ও ১৫মার্চ হোলি। এই রং-এর উৎসবে মেতে উঠবেন আট থেকে আশি সকলেই। আবিরের বিষাক্ত কেমিক্যাল থেকে বাঁচতে ভেষজ আবিরের জুড়ি মেলা ভার। পূর্ব মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে ভেষজ আবির তৈরির কাজ। তমলুক পুরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডে প্রায় ৩০ জন শ্রমিক তৈরি করছেন ভেষজ আবির।
বছরখানেক আগে ভেষজ আবিরের চাহিদা এত বিপুল পরিমাণে ছিল না। তবে আবিরে মেশানো কেমিক্যাল ও সিন্থেটিকের কারণে এলার্জি-সহ নানা ধরনের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তাই বাড়ছে ভেষজ আবিরের চাহিদা।
এই আবির তৈরি করা হয় প্রাকৃতিক সুগন্ধির সঙ্গে গাঁদা, অপরাজিতা, কাঁচা হলুদ, জবা-সহ একাধিক ফুল ও গাছের ছাল ও পাতা দিয়ে। এই আবির তৈরি করতে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ দিন। ভেষজ আবির স্বাস্থ্যসম্মত এবং সুগন্ধি হওয়ার জন্য বাজারে চাহিদা তুঙ্গে। বর্তমানে বাজারে ১০০ গ্রাম ভেষজ আবিরের দাম রয়েছে ২৫ টাকা।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় জানান, রাসায়নিক যুক্ত আবির মেখে অনেকেই এলার্জিতে ভোগেন। দোলের পরে নানান সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তাই কেমিক্যাল আবিরের ব্যবহার বন্ধ করে ভেষজ আবিরের ব্যবহার বেশি করতে হবে।
তমলুকের আবির কারখানায় কাজে এসেছেন বিহারের বাসিন্দা চন্দন কুমার। তিনি বলেন, ‘আমারা ৬টি রঙের আবির তৈরি করছি। এই আবিরে কোনও কেমিক্যাল মেশানো হয় না। পাঁচ বছর ধরে এখানে আবির তৈরি করছি। প্রায় দশ কুইন্টাল আবির প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে।’
আবির বিক্রেতা সুকদেব দাস বলেন, ‘আগে কলকাতার কেমিক্যাল যুক্ত বিভিন্ন রকমের আবিরের চাহিদা ছিল। কিন্তু বর্তমানে ভেষজ আবিরের চাহিদা বাড়ছে।’