দু মিনিটে যাদবপুর দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তৃণমূল। তবে বাস্তবে দেখা গিয়েছিল সোমবার এবিভিপি যাদবপুরে প্রবেশের মরিয়া চেষ্টা চালায়। এবার আবার এবিভিপির দাবি তারা যাদবপুরে সার্জিকাল স্ট্রাইক করবে।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এবিভিপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, ২০১১ পর্যন্ত প্রত্যেকটা ক্যাম্পাসে যে কালচার বামেরা চালিয়েছে ২০১১র পর থেকে সেই একই সংস্কৃতি তৃণমূল চালাচ্ছে। দেখতে গেলে একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই ও অন্যান্য বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। তৃণমূলের নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বেড়ি পরিয়ে রেখেছেন। বেড়ি খুলে দিলে তারা যাদবপুর দখল করে নিতেন। তাহলে কি বামপন্থীদের সঙ্গে তৃণমূলের যে আঁতাঁত সেটাই বলে দিলেন?
এবিভিপি নেতৃত্বের আরও দাবি, আন্দোলনের রূপরেখা সবসময় মারামারি সেটা কাম্য নয়। আমরা চাইলে আন্দোলন সকালে করতে পারতাম। কিন্তু আমরা করিনি। সেকারণে আমরা আন্দোলন বিকাল ৪টের পরে করেছি। এটা কাম্য নয়, একজন লাফালাফি করতে করতে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির উপর উঠে যাওয়া আবার শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির নীচে একজন ছাত্র পিষে যাবে এটাও কাম্য নয়, আজকে যাদবপুরে নৈরাজ্য তৈরি করে রেখেছে। যাদবপুরে বিদ্যার্থী পরিষদ সার্জিকাল স্ট্রাইক করবে। বিশ্বভারতীতে নেশার জায়গা করে তুলেছিল। আজ দেখুন বিশ্বভারতী। রাষ্ট্রবাদী ছাত্র ছাত্রী বাড়ছে। ওদের দাপট কমছে। যাদবপুরের বহু ছাত্রছাত্রী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছে, বিদ্যার্থী পরিষদের কাজ করতে চাই। কিন্তু একটা ভয় তাদের মধ্য়ে কাজ করছে।
এবিভিপি জানিয়েছে, যাদবপুরকে যে নোংরা কালচারে পরিণত করা হয়েছে এই বামপন্থীরা, মাওবাদী কালচার সেই কালচারকে তীব্র ধিক্কার জানাই। এবিভিপি ওখানে যে আন্দোলন করেছে তার মাধ্যমে জানতে পারছি, সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা বলছে লাল দুর্গে গেরুয়া ফাটল, আমরা ফাটল ধরিয়েছি।
আর এসএফআই নেতৃত্বের দাবি, টিএমসিপি আর এবিভিপি একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। ওরা ফ্যাসিস্ট শক্তি।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় আচমকাই এবিভিপি জোর করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল। এসএফআইয়ের পতাকা পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এরপর এসএফআই তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। গেট আটকে দেওয়া হয়। যাদবপুরের নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের আটকানোর সব রকম চেষ্টা করে। যাদবপুরের গেট জোরে করে ধাক্কা দিয়ে খুলে
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীরা বলেন, ওরা জোর করে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। পোস্টার, পতাকা খুলে দিচ্ছিল।
এক এসএফআই সমর্থক ছাত্রী বলেছিলেন, আমাদের পোস্টার পতাকা ছিঁড়ে দিল এবিভিপি।
এবিভিপি নেতৃত্ব জানিয়েছিল, আমরা গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনে নেমেছি। পুলিশ জোর করে আমাদের সরিয়ে দিয়েছে। আমরা এটা কিছুতেই মানব না।
আর মঙ্গলবার এবিভিপ জানিয়ে দিল তারা সার্জিকাল স্ট্রাইক করবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে তার ব্যাখা দিতে গিয়ে তারা জানিয়েছেন, যাদবপুরে নেশার বিরুদ্ধে তাঁদের এই সার্জিকাল স্ট্রাইক।
কিন্তু ঠিক কী হবে বিষয়টি সেটা অনেকের কাছেই ধোঁয়াশা।