নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: তাঁর ছবি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ‘অশালীন’ রিল তৈরি করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি সাইবার থানার দ্বারস্থ হলেন এক শিক্ষিকা। এ ব্যাপারে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। সেখানে কে বা কারা ওই কাজ করছে তা নিয়ে পুলিসকে তদন্ত করে দেখার আর্জি জানিয়েছেন ওই মহিলা। যদিও গোটা ঘটনার পিছনে সন্দেহের তির নিজের স্বামীর দিকেই!
লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার পর থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে ওই শিক্ষিকা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার যেসব ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে রিল বানানো হচ্ছে, তা আমার স্বামী ছাড়া কারও কাজ হতে পারে না। কারণ, যেসব ছবি ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টে পোষ্ট করা হয়েছে, সেগুলি আমার স্বামীর কাছেই ছিল। আইনিভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও স্বামীর সঙ্গে থাকেন না ওই শিক্ষিকা।
এদিন ওই শিক্ষিকা বলেন, আমার বাপের বাড়ি জলপাইগুড়িতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের সুবাদে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় দিনহাটার এক যুবকের সঙ্গে। স্বামীর অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলেও জানতে পারি। বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে আমার উপর অত্যাচার শুরু হয় শ্বশুরবাড়িতে। এরপরই স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করে শ্বশুরবাড়ি ছাড়ি।
বর্তমানে দিনহাটার একটি স্কুলে পড়ান ওই মহিলা। স্কুলের কাছেই বাড়িভাড়া করে থাকেন। শিক্ষিকার কথায়, আমার ছোট একটি সন্তান রয়েছে। সে জলপাইগুড়িতে আমার বাপের বাড়িতে থাকে। প্রতি সপ্তাহে তাকে দেখতে আসি। স্বামী আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। রাজি হইনি। আমার আশঙ্কা, সেকারণেই সে আমার ছবি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে নানারকম অশালীন রিল বানাচ্ছে। তবে ঠিক কে ওই কাজ করছে, তা তদন্ত করে খুঁজে বের করার জন্য এদিন জলপাইগুড়িতে সাইবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। অভিযুক্ত যুবক জানান, এঘটনায় তাঁর কোনও যোগ নেই।