• ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করার পর মিলেছে টাকা, ঘর বানাচ্ছেন প্রশান্ত
    বর্তমান | ০৫ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘরের টাকা পেয়ে আপ্লুত ভেটাগুড়ির রুয়েরকুঠির বাসিন্দা প্রশান্ত বর্মন। প্রথম কিস্তির টাকা হাতে পেয়ে পাকা ঘর বানাচ্ছেন তিনি। গ্রামের অন্যান্যদের আবাসের তালিকায় নাম থাকলেও তাঁর নাম ছিল না। এরপরেই তিনি ‘দিদিকে বলো’তে ফোন ঘরের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। এরপরেই রাজ্যের নির্দেশে প্রশান্ত বর্মনের নাম জমা পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলে। সেখান থেকে কোচবিহার জেলা প্রশাসনকে তাঁর নাম পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের তালিকায় নাম নথিভুক্ত হয় তাঁর। জানুয়ারি মাসে আবাসের টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকে। 


    প্রশান্ত বর্মন বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জন্যই ঘরের টাকা পেয়েছি। তিনি না থাকলে সেটা সম্ভব হতো না। মুখ্যমন্ত্রী প্রকৃতপক্ষেই বাংলার দিদি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটা বিধানসভা এলাকার ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের অধিকাংশই আবাস যোজনায় ঘরের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সরকারি লোকজন সবকিছু খতিয়ে দেখে গেলেও প্রথম তালিকায় অনেকেরই নাম ছিল না। এরপরই তালিকায় নাম না থাকায় ঘর পাওয়ার জন্য ‘দিদিকে বলো’-র নির্দিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করেন রুয়েরকুঠি গ্রামের যুবক। সরকারিভাবে আবার সবকিছু খতিয়ে দেখা হয়। ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের তালিকায় সব মিলিয়ে ৫৪৪ জনের নাম রয়েছে। তারমধ্যে শুধু প্রশান্ত বর্মনের নাম জেলা থেকে যুক্ত করে পাঠানো হয়েছে। 


    আবাসের ঘর পেয়ে প্রশান্ত বর্মনও আপ্লুত। তিনি আরও বলেন, আমি কাপড়ের দোকানের একজন কর্মচারী। জমি বলতে মাত্র দেড় বিঘা রয়েছে। একটা ঘরে পরিবার নিয়ে থাকি। আবাসের তালিকায় নাম ছিল না। এরপর ফোনে দিদিকে বলো-তে জানাই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে ঘর পেয়েছি। প্রথম কিস্তির টাকায় পাকা ঘর তৈরি করছি। 


    ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চুমকি মহন্ত বলেন, আমাদের গ্রাম পঞ্চয়েতে রুয়েরকুঠির একজন মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে ঘর পেয়েছেন। প্রথম কিস্তির টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। ওই টাকা দিয়ে উনি পাকা ঘর নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)