• অঙ্ক নিয়ে ভয় কাটাতে ‘ডিজিটাল কনটেন্ট’ আনছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর
    বর্তমান | ০৫ মার্চ ২০২৫
  • রাহুল চক্রবর্তী, কলকাতা: অঙ্ক-ফোবিয়া! একটু নির্দিষ্ট করে বললে অঙ্ক পরীক্ষা নিয়ে ভয়! অনেক সময় পরিস্থিতিটা এমন হয় যে, অঙ্ক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে আতঙ্ক ও উদ্বেগে শরীর খারাপ হয়ে যায় পরীক্ষার্থীর। কোনও মতে পাশমার্ক উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় থাকে অনেকে। কিন্তু অঙ্কের নাম শুনে এভাবে গায়ে জ্বর এলে তো ‘অঙ্ক’ মেলানোই মুশকিল! তাই পড়ুয়াদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে রাজ্য শিক্ষাদপ্তর। অঙ্ক নিয়ে তাদের ভয়ভীতি কাটাতে তাদের জন্য ‘ডিজিটাল কনটেন্ট’ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 


    মূলত বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে, সপ্তম থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়ুয়াদের মধ্যে অঙ্ক নিয়ে প্রবল ভয়ভীতি কাজ করে। বাড়িতে প্র্যাকটিসের সময় অঙ্কের উত্তর না মিললে ভয় যেন আরও চেপে বসে। তখন বাধ্য হয়ে অনেক পড়ুয়া অঙ্ক মুখস্থ করায় রাস্তায় হাঁটে। কিন্তু ইতিহাসের মতো মতো অঙ্ক তো আর মুখস্থ করে চলে না। ফলে পরীক্ষার হলে গিয়ে কোনও কূলকিনারা খুঁজে পায় না পরীক্ষার্থী। পড়ুয়াদের মধ্যে অঙ্ক নিয়ে এই আতঙ্কের পরিবেশ কাটানোর দিকে নজর দিয়েছে রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর। আগামী ১০ মার্চ থেকে বিধানসভায় দপ্তরওয়ারি বাজেট পেশ হবে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁর দপ্তরের বাজেট পেশ করবেন। সেই সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০২৫-২৬ সাল থেকে এই নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাজেটে বইতে লেখা হয়েছে, ‘উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত অঙ্কের শিখন-শিক্ষনের জন্য ডিজিটাল কনটেন্টের মানোন্নয়ন।’ 


    শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অঙ্কের ভয়-ভীতি দূর করা এবং বিষয়টির প্রতি পড়ুয়াদের আগ্রহ বৃদ্ধিই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য। বিদ্যালয় শিক্ষাদপ্তরের অধীনে গোটা বিষয়টি তত্ত্বাবধানে রয়েছে স্টেট কাউন্সিল অফ এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (এসসিইআরটি)। https://sekha-scert.wb.gov.in থেকে ছাত্রছাত্রীরা এই ডিজিটাল কনটেন্ট পাবে। এখানে তারা নিজেরাই দেখতে, পড়তে ও শিখতে পারবে। যে কারণে প্রজেক্টের শিরোনামে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘নিজে পড়া, নিজে শেখা।’ সেখানে বলা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের ‘সেলফ লার্নিং’ ব্যবস্থার কথা। ‘ভিজুয়াল কনটেন্ট’ থাকবে। আগে ইংরেজি বিষয়ের উপর এমন ব্যবস্থা ছিল। এবার তার সঙ্গে যুক্ত করা হল অঙ্ককে। পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা হলে তাঁরা শিক্ষকদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে পারবেন। আবার শিক্ষকরাও কোথাও আটকে গেলে ‘এডুকেটর’-এর সাহায্য পাবেন। শিক্ষাদপ্তরের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘মূল লক্ষ্য ধারাবাহিক প্রস্তুতির মধ্যে দিয়ে অঙ্ক  বিষয়ের প্রতি পড়ুয়াদের আগ্রহ সৃষ্টি করা, যাতে তারা পরীক্ষার হলে কোনওভাবে মানসিক চাপে না পড়ে।’
  • Link to this news (বর্তমান)