• মালদা জুড়ে খুচরোর আকাল, বাড়তি অর্থ দিয়ে কয়েন জোগাড়
    এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৫
  • কৌশিক দে, মালদা

    ইংরেজবাজার শহরের বিনয় সরকার রোড এলাকায় দেবু দাসের দোকানে এক ক্রেতা এসে ৩০ টাকার দুধের প্যাকেট এবং দশ টাকার চা পাতা কিনে ৫০০ টাকার নোট ধরালেন। এত বড় নোটের খুচরো ছিল না তাঁর কাছে। পরিচিত খদ্দের বলে পরে দাম মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে দুধ আর চা দিয়ে দিলেন দেবু। শুধু এই ব্যবসায়ী একা নন, মালদায় মুদি থেকে মিষ্টির দোকান, ফাস্টফুড ব্যবসায়ী থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান, সর্বত্রই খুচরোর চরম আকাল দেখা দিয়েছে। দোকান চালাতে বাড়তি টাকা দিয়ে ৫ ও ১০ টাকার কয়েন ব্যবসায়ীদের জোগাড় করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ইংরেজবাজার শহরে হাজার টাকা খুচরো নিতে অতিরিক্ত ৫০ টাকা দিতে হচ্ছে।

    ইংরেজবাজারের নেতাজি সুভাষ রোড সংলগ্ন এলাকার এক লস্যি ব্যবসায়ী সঞ্জয় দাস বলেন, ‘আমার দোকানে লস্যি খেতে প্রতিদিনই বহু মানুষ ভিড় করেন। এক গ্লাস লস্যির দাম ৪০ টাকা। কিন্তু অধিকাংশ ক্রেতারাই ৫০০ টাকার নোট দিচ্ছেন। এত খুচরো কী ভাবে জোগাড় করব। ব্যাঙ্ক থেকেও খুচরো মিলছে না।’ বাঁধ রোড এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী সুভাষ মণ্ডল বলেন, ‘পুরোনো নোট বদলকারীদের কাছ থেকে বেশি টাকা দিয়ে খুচরো সংগ্রহ করছি।’ মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক উত্তম বাসাক বলেন, ‘মালদায় খুচরো টাকা নিয়ে একটা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের এই সঙ্কটে পড়তে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মালদা লিড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।’

    মালদার লিড ব্যাঙ্ক জেনারেল ম্যানেজার অমিতাভ কীর্তনীয়া বলেন, ‘খুচরোর সঙ্কটের কথা ঠিক নয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কে প্রচুর খুচরো রয়েছে। কিন্তু গ্রাহকরা খুচরো নিতে চাইছেন না। পাঁচ ও দশ টাকার কয়েনও নিতে চাইছেন না।’

  • Link to this news (এই সময়)