• নদীর স্বাস্থ্যরক্ষায় এ বার ‘রিভার অ্যাম্বাসাডর’
    এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়: নদীর ঘাটগুলো ওঁদের রোজগারের জায়গা। কেউ চা, কেউ ঝালমুড়ি, কেউ ঘটিগরম আবার কেউ বা অন্য কোনও জিনিস ফেরি করে বেড়ান। ঘাটের পরিচ্ছন্নতা রক্ষার ভার তাঁদেরই উপর তুলে দিয়ে মহানগরের ঘাটগুলো রক্ষার অভিনব পরিকল্পনা বেশ কয়েকটি জনকল্যাণকর সংগঠনের মিলিত উদ্যোগের। যাঁদের উপর ঘাটের পরিচ্ছন্নতা রক্ষার ভার দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা হতে চলেছেন ‘রিভার অ্যাম্বাসাডর’।

    প্রদীপ দাস, নিরঞ্জন কুমার, কিরণ সাহার মতো অনেকেই এতদিন উত্তর কলকাতায় হুগলি নদীর বিভিন্ন ঘাটে ঘুরে ঘুরে নানা ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি করতেন। কিন্তু এ বার ওঁরা ‘রিভার অ্যাম্বাসাডর’। গত কয়েক বছর ধরেই মহানগরের বিভিন্ন ঘাট পরিচ্ছন্ন রাখা, সেই ঘাটের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা এবং সাধারণ মানুষকে ঘাটের সেই অজানা বিষয়ে জানানো নিয়ে মিলিত ভাবে কাজ করে চলেছেন ‘কাল্ট–এক্স’, ‘সি এক্সপ্লোরার্স ইনস্টিটিউট’, ‘লিভিং ওয়াটার্স মিউজ়িয়ম’ — কলকাতা চ্যাপ্টার–এর সদস্যরা।

    এই সংগঠনগুলোরই মিলিত পরিকল্পনা, শহরের ঘাটগুলোয় যাঁদের প্রতিদিনের যাতায়াত, তাঁদের মধ্য থেকেই কয়েকজনকে বেছে নিয়ে ঘাটের পরিচ্চন্নতা–রক্ষার ভার তুলে দেওয়ার। সম্প্রতি চাঁপাতলা ঘাটে হাজির হয়েছিলেন কাল্ট–এক্স–এর লায়লি থমসন, সি এক্সপ্লোরার্স ইনস্টিটিউটের নীলেন্দ্র সরকার এবং লিভিং ওয়াটার্স মিউজ়িয়ম — কলকাতা চ্যাপ্টার–এর সুকৃত সেন। প্রাথমিক ভাবে ১৩ জনকে ‘রিভার অ্যাম্বাসাডর’ হিসেবে বেছে নিয়ে হুগলি নদীর ঘাটের স্বাস্থ্যরক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। আপাতত তিন সংগঠনের সিদ্ধান্ত, ‘রিভার অ্যাম্বাসাডর’–দের ঘণ্টায় ১০০ টাকা হারে নির্দিষ্ট সময়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কী ভাবে ঘাটগুলো পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব, সেই বিষয়েই এই প্রশিক্ষণ। সামনের তিন বছরের মধ্যে ‘রিভার অ্যাম্বাসাডর’–এর সংখ্যা ১০০–তে পৌঁছবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

    তবে শুধুই প্রশিক্ষণ নয়, রোজগারের জন্য যাঁরা নিয়মিত ঘাটগুলোয় যাতায়াত করেন, তাঁদের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিতে চেয়েছেন উদ্যোক্তারা। সেখানেই প্রদীপ দাস, নিরঞ্জন কুমার ও কিরণ সাহারা জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে হালকা ওয়েস্ট পেপার বাসকেট থাকলে ঘাট পরিষ্কার রাখার কাজটা অনেকটাই সহজ হয়।

  • Link to this news (এই সময়)