সুগার, প্রেশার থেকে রিংগার ল্যাকটেট পরীক্ষায় ফেল একাধিক জরুরি ওষুধ
বর্তমান | ০৫ মার্চ ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সুগার, প্রেশার, অ্যালার্জির ওষুধ থেকে অ্যান্টিবায়োটিক, বমি থেকে শুরু করে পেট খারাপের জরুরি ওষুধ— রোজকার অসুখবিসুখে দরকারি অসংখ্য ওষুধ গুণগতভাবে নিম্নমানের। এমনই জানাল কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্স কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের জানুয়ারি মাসের রিপোর্ট। ছোট-মাঝারি-বড় অসংখ্য ওষুধ কোম্পানির টেলমিসার্টান (প্রেশার), গ্লিমেপিরাইড (সুগার), অন্ডানসেট্রন (বমি), প্যান্টোপ্রাজল (গ্যাস), মেট্রোনিডাজল (পেট খারাপ), অ্যামক্সিসিলিন (অ্যান্টিবায়োটিক) সহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে কেন্দ্রের তালিকায়।
আইন মোতাবেক কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল প্রতি মাসে বাজার নয়তো ফ্যাক্টরি থেকে বিভিন্ন ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে গুণমান যাচাইয়ের জন্য সরকারি পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠায়। সেই রিপোর্ট এলে তা তুলে দেওয়া হয় ওয়েবসাইটে। বেশকিছু নামী কোম্পানির নির্দিষ্ট ব্যাচের ওষুধও জানুয়ারি মাসের রিপোর্টে নিম্নমানের বলে জানানো হয়েছে। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল যে ৯৩টি ওষুধের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে সরকারি ওয়েবসাইটে, তাতে অন্তত ১৬টি ওষুধই হল রিংগার ল্যাকটেট (আরএল) স্যালাইন। এই সবক’টি স্যালাইন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সরবরাহ করা বিতর্কিত এক ওষুধ কোম্পানির। তবে যে ১৬টি ব্যাচের রিংগার ল্যাকটেটের নমুনা তুলে দেওয়া হয়েছে, সবক’টিরই নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ওই বিতর্কিত নির্মাতার কর্ণাটকে সরবরাহ হওয়া আরএল স্যালাইনের।