কলকাতার বুকে দুঃসাহসিক ডাকাতি, মালিকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা লুঠ
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ মার্চ ২০২৫
আবার খাস কলকাতায় দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল। এবার বড়বাজার এলাকার একটি বেসরকারি সংস্থায় ঢুকে ডাকাতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সংস্থার মালিকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ব্যাপক মারধর শুরু করে ডাকাতরা। তাতে সংস্থার মালিক বিস্তর আঘাত পেয়েছেন বলে অভিযোগ। আঘাত পেয়ে যখন ওই সংস্থার মালিক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তখন তাঁর হাত–পা বেঁধে ফেলা হয়। এরপর ওই সংস্থার আলমারিতে থাকা প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা লুঠ করে ডাকাতদল চম্পট দেয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এখন মধ্য কলকাতার বড়বাজার থানায় ডাকাতির অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মালিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, বড়বাজার এলাকার সিনাগগ স্ট্রিটের একটি বহুতলের পাঁচতলায় ডাকাতি হয়েছে। এখানে অনেকগুলি সংস্থার অফিস রয়েছে। সন্ধ্যার সময় সব অফিসে তেমন লোকজন থাকে না। বেশিরভাগ অফিসই ফাঁকাই থাকে। এইটা রেইকে করে দেখা হয়েছিল। তারপরই পরিকল্পনা করে সঠিক সময়ে তিন যুবক ওই অফিসের সামনে চলে আসে। তারপরই হয় ডাকাতির অপারেশন। বড়বাজার থানা এবং লালবাজারের গোয়েন্দা অফিসারকরা ওই অফিস বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। তাতেই তাঁরা জানতে পারেন, তিন ডাকাতের মধ্যে দু’জনের মাথায় ছিল সাদা টুপি। আর একজনের মাথায় ছিল লাল টুপি। প্রথমে একজন ওই অফিসের ভিতরে ঢোকে। তারপর ঢোকে আরও দু’জন। ১০ মিনিট পর তিনজনই হাতে ব্যাগ নিয়ে বের হয়।
এই তিনজন ওই অফিস সম্পর্কে সমস্ত খবর রেখেছিল। তাই একদম নিখুঁতভাবে ওই ডাকাতরা ডাকাতি করতে পেরেছে। এমনটাই অনুমান করছে পুলিশ। পুলিশকে ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, তিনজন চাকরি চাওয়ার নাম করে ভিতরে ঢুকে পড়ে। আর দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে অশ্লীল গালাগাল দেয় ডাকাতরা। ওই ঘরের আলমারিতে রাখা ছিল টাকার ব্যাগ। সেই টাকার ব্যাগ লুঠ করতে গেলে বাধা দেয় ব্যবসায়ী। তখন তাঁকে আরও মারধর করা হয়। আর তাঁর হাত–পা বেঁধে ডাকাতরা ১৫ লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগ লুঠ করে চম্পট দেয়।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই ডাকাতির পিছনে বিহারের ডাকাত দলের হাত রয়েছে। কারণ এমন ডাকাতি সেখানেই হয়। এই রাজ্যের ডাকাতির ছক অন্যরকম হয়। তবে ডাকাতরা হেঁটে বা বাসে করে হাওড়া স্টেশনের দিকে গিয়েছে কিনা সেটা জানার জন্য গোটা এলাকার সিসিটিভি পরীক্ষা করা হচ্ছে। ডাকাতদের চিহ্নিতকরণের কাজ এখন চলছে। এছাড়া মধ্য কলকাতার পোস্তা এলাকায় এক ব্যবসায়ীর ব্যাগ থেকে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা লুঠ করার অভিযোগ উঠেছে। লিলুয়ার ওই ব্যবসায়ী পোস্তা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।