• যাদবপুর-কাণ্ড: পরিস্থিতিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো হতে দেওয়া যাবে না, তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ বিচারপতি ঘোষের
    এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৫
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার ১ মার্চ যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতা দেখছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার যাদবপুর সংক্রান্ত মামলায় আদালতে প্রশ্ন উঠল, গোয়েন্দারা কি মন্ত্রীকে সতর্ক করেছিলেন? মন্ত্রী কি সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছিলেন? এ দিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। ইন্দ্রানুজের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত এফআইআর করার নির্দেশও দেন বিচারপতি ঘোষ।

    এ দিন গোয়েন্দাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘এমন ভাবে গোয়েন্দারা নিজেদের কাজে ক্যাজুয়াল মনোভাব দেখালে রাজ্যে আরও বাজে ঘটনা ঘটে যেতে পারে’। আদালত মনে করছে, এই একটা ঘটনাই শিক্ষা নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। একই সঙ্গে আদালত জানায়, আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজের ই-মেলে অভিযোগকেও মান্যতা দিতে হবে এবং বুধবারই এই অভিযোগ নিয়ে এফআইআর করতে হবে। সেদিনের যাবতীয় ঘটনার বক্তব্য ও পাল্টা বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরিরও নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    যাদবপুরের বামপন্থী ছাত্রদের তরফে কয়েক জন এ দিন আদালতের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীদের বক্তব্য, শনিবারের ঘটনায় ৭টা এফআইআর হয়েছে। তার মধ্যে ২টি পুলিশ নিজে করেছে, ৫টি বাইরের লোক দিয়ে করানো হয়েছে। তাঁদের কোনও বক্তব্য নেওয়া হয়নি। মামলাকারীদের আরও বক্তব্য, অভিযোগগুলি পরস্পর বিরোধী।

    এ দিন বিচারপতি জানতে চান, কী করে এই ভিড় মন্ত্রীর এত কাছে চলে এল? বিচারপতি ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘এমন ঘটনা দু’টো কারণে ঘটতে পারে। মন্ত্রী যদি ওই ছাত্রদের কাছাকাছি আসার সুযোগ দেন, সেটা অন্য ব্যাপার। তবে যদি গোয়েন্দারা ব্যর্থ হয়, তাহলে তো আগামী দিনে প্রতিবেশী দেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। সেটা হতে দেওয়া যাবে না। ঘটনাকে রাজ্যের অন্য অংশের জন্য উদাহরণ হতে দিতে পারি না। ক্রাউড ম্যানেজমেন্টে একটা বড় ব্যর্থতা। এটা রাজ্যের জন্য ব্যর্থতা। কেনো এই গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা, সেটা জানা দরকার। এটা নিয়ে আরও সতর্ক না হলে, গোটা রাজ্যে তার প্রভাব পড়বে। এটা চলতে দেওয়া যাবে না।’ ১২ মার্চ বিকাল সাড়ে ৪ টায় এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

  • Link to this news (এই সময়)