সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। চিকিৎসাও করিয়েছিলেন। সেই রোগীর মৃতদেহ পাওয়া গেল হাসপাতালেরই সামনের রাস্তায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনা হাওড়ায়। মৃত মহিলার নাম কলপতি পাসওয়ান। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইলের হাজি এসটি মল্লিক গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনায় একটি বিশেষ টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ওই মহিলা পেটে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। ‘অবজারভেশন ওয়ার্ড’-এ রেখে তাঁর চিকিৎসা করাও হয় বলে দাবি হাসপাতালে। রাতের দিকে কিছুটা সুস্থ বোধ করেন ওই মহিলা। এর পরেই নিজেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান। বুধবার সকালে হাসপাতালের সামনের রাস্তায় তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই ওই মহিলার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানানো যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ কিশলয় দত্ত বলেন, ‘পেটে ব্যথা নিয়ে উনি হাসপাতালে কাল রাতে এসেছিলেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাঁর যথাযথ চিকিৎসা করেছিলেন। তাঁকে অবজারভেশনে রাখার জন্য বলা হয়েছিল। উনি নিজেই জানিয়েছিলেন সুস্থ বোধ করছেন। বাড়িতে কেউ নেই বলে উনি ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানান। নিজে থেকেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান।’ তবে রাতে হাসপাতালে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে মৃতার পরিবারের তরফে। মৃত মহিলার ছেলে সুশান্ত পাসওয়ান বলেন, ‘আমার মাকে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল বলেই আমি জানতাম। সকালে জানলাম ওঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালের বাইরে আমার মায়ের দেহ পাওয়া যায়। কী করে হাসপাতালে রোগীর খেয়াল রাখা হয় না বুঝতে পারছি না।’