কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আবাস যোজনার টাকা নিজেদের তহবিল থেকে দিতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। ডিসেম্বর মাসেই রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে তাঁদের অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা করে প্রথম কিস্তির টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ উঠল মালদায়। অভিযুক্ত বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য। পুরো টাকা না দেওয়ায় ওই উপভোক্তার ছেলেকে মারধর করা ও হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে ওই পরিবার।
সূত্রের খবর, মালদার হবিবপুর থানার ঋষিপুর অঞ্চলের দেবীনগর এলাকার বাসিন্দা সারিয়ান চৌধুরী বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, তালিকায় নাম আসার পরেই স্থানীয় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য গোবিন্দ চৌধুরী ২০ হাজার টাকা দাবি করে হুমকি দেন, টাকা না দিলে আবাসের তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হবে।
অভাবের সংসারে নিজের গৃহপালিত ছাগল বেচে দিয়ে সেই টাকা দিয়েও দেন তিনি। বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। ফের কয়েকদিন আগে ১০ হাজার টাকা ‘কাটমানি’ দেওয়ার দাবি করেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য বলে অভিযোগ। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন ওই উপভোক্তা। টাকা দিতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের ইন্ধনে তাঁর ছেলেকে মারধর করা হয়। হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনা জানিয়ে হবিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
এই ঘটনার কড়া সমালচনা করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। হবিবপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি কিসকু মুর্মু বলেন, ‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষকে কিছু দেয় না। উল্টে বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে বিজেপির লোকজন তোলাবাজি করছে। যা বাংলায় চলতে দেওয়া যাবে না। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিক।’ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গোবিন্দ চৌধুরী তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় বিজেপির শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। সেই সংগঠনকে দুর্বল করতে তৃণমূল চক্রান্ত করছে। চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।’