• বর্ধমান জ়ুলজিক্যাল পার্কে চার কুমিরের মারামারি, প্রাণ গেল একটির
    এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৫
  • বর্ধমান জ়ুলজিক্যাল পার্কে পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ কুমিরের মৃত্যু। মঙ্গলবার তার পোস্টমর্টেমও হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে গিয়ে এই ঘটনা। তবে প্রশ্ন উঠছে, বন্যপ্রাণ রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে। জ়ুলজিক্যাল পার্কের এনক্লোজারে ৫টি মেছো কুমির ছিল। তাদের মধ্যেই একটি মারা গিয়েছে।

    বনাধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা জানান, নিজেদের মধ্যে মারামারি করেই ওই কুমির মারা গিয়েছে। তার দেহে প্রচুর ক্ষতচিহ্ন ছিল। ক্ষত এতটাই গভীর ছিল, লড়াই করার আর শক্তি ছিল না ওই কুমিরের। কিন্তু এনক্লোজারের ভিতর কি পর্যাপ্ত নজরদারি থাকে না?

    এনক্লোজার পার্কের চিকিৎসক তপন কুমার ঘোষের বক্তব্য, প্রাকৃতিকভাবেই বন্যপশুরা বিভিন্ন কারণে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে থাকে। বিশেষ করে পুরুষ-মহিলার অনুপাত এ ক্ষেত্রে একটা বিশেষ কারণ। পুরুষ বেশি হলেই, নিজেদের মধ্যে মারামারি করার একটা প্রবণতা দেখা যায়। সম্ভবত সে কারণেই ওই পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ কুমিরটি মারা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই চিকিৎসকের আরও দাবি, কুমিরের গায়ে কামড়ানোর দাগ ছিল। ইতিমধ্যেই দেহের পোস্টমর্টেম হয়েছে। পাশাপাশি নমুনা পাঠানো হয়েছে কলকাতায় পরীক্ষার জন্যও।

    যে কুমিরটি মারা গিয়েছে, তা মেছো কুমির। মিষ্টি জলে থাকে। প্রায় ৭ ফুটের মতো লম্বা। এর আগে এই এনক্লোজারে থাকা একটি ছোট কুমিরও আহত হয়। তার লেজে আঘাত লাগে। তার পর তাকে অন্য একটি জায়গায় রাখা হয়। এর পর থেকে চার জন একসঙ্গে ছিল। তাদেরই একজন মারা গিয়েছে।

    অন্যদিকে, এখানে চর্মরোগে আক্রান্ত হয় তিনটি বাঘও। দু’জন আপাতত সুস্থ, তবে কালী নামে একটি বাঘের বয়স হওয়ায় সারতে কিছুটা সময় লাগছে। সঞ্চিতা শর্মা জানান, চর্মরোগের সমস্যা অনেক সময়ই হয়। মরশুম বদলের জন্য হতে পারে। এখানে বন্যপ্রাণীদের যত্নে কোনও খামতি থাকে না বলেও জানান তিনি। ঠিক যেমন মানুষেরও মাঝে মধ্যে জ্বর সর্দি শরীর খারাপ হয়, ওদেরও তেমনই হয়।

  • Link to this news (এই সময়)