• হাতির পিঠে চেপে ভোর থেকেই শুরু গন্ডার গণনার কাজ! এবার কি বাড়বে প্রাণীটির সংখ্যা?
    ২৪ ঘন্টা | ০৫ মার্চ ২০২৫
  • প্রদ্যুৎ দাস ও তপন দেব: গন্ডারের সংখ্যা বাড়ার আশায় রয়েছে বন দফতর। গরুমারা জাতীয় উদ্যান ও চাপড়ামারি জঙ্গলের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি ডিভিশনের নাথুয়া রামসাই-সহ সংলগ্ন এলাকার জঙ্গলে শুরু হচ্ছে গন্ডারশুমারি। 

    আজ, ৫ ও আগামীকাল ৬ মার্চ (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) এই শুমারি চলবে, যেখানে বনকর্মীরা ট্র্যাপ ক্যামেরা ও কুনকি হাতি নিয়ে কাজটি করবে। কাজটি হবে হাঁটাপথে এবং গাড়ির সাহায্যে। ৩৭টি-র বেশি টিম এই গন্ডার-গণনার কাজে নিয়োজিত করা হবে। শুমারির সময় পর্যটকদের জন্য জঙ্গল বন্ধ রাখা হবে। শেষ বার ২০২২ সালে হওয়া শুমারিতে গরুমারায় ৫৫ টি গন্ডার ছিল। এবার সেই সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশা বন দফতরের।

    বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩৭টি-র বেশি টিম এই শুমারির কাজটি করবে। এবার গন্ডারের সংখ্যা আগের থেকে বেশি হবে বলেই আশাবাদী বনবিভাগ। ইতিমধ্যে এই শুমারি সফল করতে দক্ষিণ ধুপঝোড়া এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে দু'দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথমদিন বনকর্মী ও বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, আর দ্বিতীয় দিনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্যদের। গরুমারা ও  চাপড়ামারির এই শুমারির দিকে নজর রয়েছে বনদফতর ও পরিবেশপ্রেমীদের। গন্ডারের সংখ্যাবৃদ্ধির আশা উদ্দীপনা জাগিয়েছে ঠিকই। তবে এ বিষয়ে ঠিক তথ্য তুলে আনার জন্য বনকর্মীদের পরিশ্রম ও আধুনিক প্রযুক্তির উপরও নির্ভর করছে বন দফতর। কেননা, এই কাজে এ দুটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    ওদিকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানেও শুরু হল গন্ডার গণনার কাজ। প্রায় ৭০টি পোষা হাতিকে কাজে লাগানো হয়েছে গণনার এই কাজে। গোটা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানকে ৬৫টি ভাগে ভাগ করে ১১০ পয়েন্ট থেকে গন্ডার গণনা করা হবে। বনকর্মীদের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের ১৩টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা গণনার কাজ করবেন। সব মিলে ১৯৩টি দলে ৪০০ জন এই গণনার কাজ করছেন। ১৯৮৫ সালে মাত্র ১৪টি একশৃঙ্গ গন্ডার ছিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাড়িয়েছিল ২৯২টি-তে। এবার তা আরও বাড়তে পারে বলে আশা বনকর্তাদের। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে এই একশৃঙ্গ গন্ডার দেখতে প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষ পর্যটক আসেন। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)