জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উপাচার্যকে আজ বিকেল চারটের মধ্যে ক্য়াম্পাসে এসে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। শনিবারের ঘটনার শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে হিট অ্যান্ড রান কেস দিতে হবে। এরকম একাধিক দাবিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছে ছাত্রছাত্রীরা। এরমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। তড়িঘড়ি তাঁর স্ত্রী তাঁকে নিয়ে গেলেন দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। এখন কী করবেন পড়ুয়ারা! এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা। তাতে কয়েকজন আহত হন। হাতে চোট লাগে ব্রাত্য বসুরও। সেই ঘটনার পর থেকে বাড়িতেই ছিলেন অসুস্থ উপাচার্য। ভাস্কর গুপ্ত স্ত্রী বলেছেন গতকাল থেকে ভাস্করবাবুর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। রক্তচাপ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগে তাঁর স্ট্রোক হয়েছিল। ফলে ভয়ের একটা কারণ থেকেই যায়। সেসব কথা মাথায় রেখেই পারিববারিক চিকিত্সক পরামর্শ দিয়েছেন হাসপাতালে একবার দেখিয়ে নিতে। সেই কথা শুনেই ভাস্কর গুপ্তকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন তাঁর স্ত্রী।
উল্লেখ্য়, গতকালই বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা ডেডলাইন বেঁধে দেয়ে যে আজ বিকেল চারটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ক্ষমা চাইতে হবে ভাস্কর গুপ্তকে। নয়তো বৃহত্তর আন্দোলন হবে। এনিয়ে ভাষ্কর গুপ্ত বলেন, পড়ুয়াদের ওই কথায় কার্যত তিনি মর্মাহত। শনিবার তাঁর উপরে যে হামলা হয়েছে, জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে পড়য়ারা কিছু বলছে না। ডাক্তার তাঁকে ১০ দিন বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জানা সত্বেও যেভাবে ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা একেবারে অমানবিক।
প্রসঙ্গত, উপাচার্য চারটের মধ্য়ে হাসপাতালে না এলে বড় আন্দোলন করবে বলে জানিয়েছে পড়ুয়ারা। পাশাপাশি তাদের আরও দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে শনিবারের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে আদালতে মামলা করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রীকে হিট এন্ড রান কেসে অভিযুক্ত করে এই মামলা দায়ের করতে হবে। তার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার মামলা করতে হবে। অবিলম্বে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে হবে। গ্রেফতার হওয়া অথবা FIR এ নাম থাকা সকল ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন। ছাত্ররা জেনারেল বডি মিটিং করে সেই আন্দোলনের রূপরেখা জানাবে।