আচমকাই ফাল্গুনীর সঙ্গে প্রাক্তন স্বামীর কাছে গিয়েছিলেন পিসিশাশুড়ি! আহিরীটোলা কাণ্ডে নয়া তথ্য
প্রতিদিন | ০৫ মার্চ ২০২৫
অভিষেক চৌধুরী, কালনা: আহিরীটোলা কাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য। এবার জানা যাচ্ছে, খুনের কিছুদিন আগে নাকি ‘খুনি’ ফাল্গুনী ঘোষের সঙ্গে প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে বর্ধমান গিয়েছিলেন মৃত সুমিতা ঘোষ। কিন্তু কেন? সেটাই জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা। এদিকে প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সুদীপ্ত ঘোষও।
আহিরীটোলা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই বর্ধমানের নাদনঘাটের বাসিন্দা সুদীপ্ত ঘোষের নাম চর্চায় চলে আসে। জানা যায়, ২০০৪ সালে তাঁর সঙ্গেই বিয়ে হয়েছিল মৃত সুমিতা ঘোষের। শোনা যায়, প্রথমে সম্পর্কে সুমধুর থাকলেও কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। তবে কর্মসূত্রে সুদীপ্তবাবু বাইরেই থাকতেন বেশিরভাগ সময়। স্ত্রীও শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন না খুব একটা। তা সত্ত্বেও দাম্পত্যকলহ লেগেই থাকত। এক পর্যায়ে তা চরমে ওঠে। ২০১৭-১৮ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর থেকে দু’জন দু’প্রান্তে। কেউ আর সেভাবে প্রাক্তনের খোঁজ নেননি। পরবর্তীতে প্রাক্তন স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন সুদীপ্ত। জানিয়েছিলেন, বহু বছর কোনও যোগাযোগ ছিল না তাঁদের। কিন্তু এমনটা হবে ভাবতে পারেননি।
কিন্তু ধৃত ফাল্গুনী ও আরতিকে জেরা করতেই প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগেই নাকি প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন সুমিতা। সঙ্গে ছিল ফাল্গুনী ও এক ব্যক্তি। এবিষয়টি জানাজানি হতেই সংবাদ প্রতিদিনের তরফে যোগাযোগ করা হয় সুদীপ্ত ঘোষের সঙ্গে। তিনি জানান, রাস্তায় দেখা হয়েছিল সুমিতাদেবীর সঙ্গে। সৌজন্য বিনিময় ছাড়া কোনও কথা হয়নি বলেই দাবি তাঁর। কিন্তু এতবছর পর কেন প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন সুমিতা? সেখানে ফাল্গুনীর ভূমিকাই বা কী? এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।