বাবুল হক, মালদহ: পরীক্ষাকেন্দ্রে তল্লাশি কেন চালানো হবে? সেই নিয়ে ধুন্ধুমার পরীক্ষাকেন্দ্র। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হাতে আক্রান্ত হলেন খোদ মাস্টারমশাইরা। নজিরবিহীন এই ঘটনা মালদহের বৈষ্ণবনগরের একটি স্কুলের। সব থেকে বড় কথা, এই ঘটনা যখন চলছে, সেসময় খোদ রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জেলাতেই উপস্থিত। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার উচ্চমাধ্যমিকের ইংরাজি পরীক্ষা ছিল। বৈষ্ণবনগরের চামাগ্রাম হাইস্কুলে সিট পড়েছে কান্দিটোলা হাইমাদ্রাসা, চর সুজাপুর হাইস্কুল এবং পারলালপুর হাইস্কুলের। নিয়ম অনুসারে এদিন পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রের ভিতর ঢোকার সময় ছাত্রদের তল্লাশি চালানো হয়। আর সেই নিয়েই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পরীক্ষার্থীদের। তারা তল্লাশিতে রাজি হয়নি। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপরেই মারমুখী হয়ে ওঠে পড়ুয়ারা।
শিক্ষকদের উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু হয়। হামলায় ওই স্কুলের মোট ছয়জন শিক্ষক জখম হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই স্কুলে যান বৈষ্ণবনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেশ কিছু সময়ের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। শিক্ষকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। পরীক্ষা চলাকালীন বিশাল পুলিশ বাহিনী স্কুল চত্বরে মোতায়েন ছিল বলে খবর।
এদিন মালদহ সফরে গিয়েছিলেন, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তাঁর কাছেও বিষয়টির খবর যায়। তিনি জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যের মধ্যে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভবিষ্যতে এমন যাতে না হয়, সেই বিষয়টিতেও নজরদারি বাড়বে। সেই কথাও জানিয়েছেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।