ঠিক কী ঘটেছিল অভিশপ্ত রাতে? সব সত্যি বলছেন প্রসূন? চলছে ট্যাংরা কাণ্ডের পুনর্নির্মাণ
প্রতিদিন | ০৫ মার্চ ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্য়াংরা কাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য। তদন্ত নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যেই খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দে বাড়ির ছোট ছেলে প্রসূন। কিন্তু যা বলছেন সব সত্যি কি? জানতে বুধবার দুপুরে প্রসূনকে নিয়ে অটল শূর রোডের বাড়িতে হাজির পুলিশ। চলছে ঘটনার পূনর্নিমাণ।
ট্য়াংরা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই দে বাড়ির দুই ছেলে প্রনয় ও প্রসূন জানিয়েছিলেন তাঁদের ঋণের বোঝা ও আত্মহত্যার পরিকল্পনার কথা। পরবর্তীতে প্রণয় জানান, তিনি মানসিকভাবে দুর্বল, তাই ভাইকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন দুই বউ ও ভাইঝিকে হত্যার। দাদার নির্দেশ মেনেই তিন খুন করেন প্রসূন। সোমবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রসূন, এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। তাঁকে আদালতে তোলা হলে আত্মপক্ষ সমর্থন তো দূর, আইনজীবীও নিতে চাননি তিনি। বিচারপতি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, “আপনি আইনজীবী নিতে চাননি, কিছু বলতে চান?” প্রশ্নের জবাব দেননি, চুপ করে ছিলেন প্রসূন। এক সরকারি আইনজীবী বলেন, “উনি উকিল চান না। বিচার প্রক্রিয়ায় একাই থাকতে চান। পুলিশ চার্জশিট পেশ করলে তিনি অপরাধ স্বীকার করবেন বলে জানিয়েছেন।” পরবর্তীতে প্রসূন জানান, তাঁর বাঁচার ইচ্ছে নেই।
কিন্তু প্রসূন যা বলছেন, সব সত্যি? ঠিক কী ঘটেছিল ওই রাতে? তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। সেই রহস্যের জট খুলতেই বুধবার দুপুরে প্রসূনকে সঙ্গে নিয়ে ট্যাংরায় তাঁর বাড়িতে হাজিরা হন পুলিশ আধিকারিকরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও চলছে পুনর্নিমাণ। এতেই কিছুটা হলেও স্পষ্ট হবে প্রসূনের সব দাবি সত্যি কি না, মনে করছে পুলিশ। উল্লেখ্য, সপ্তাহ দুয়েক আগে ট্যাংরার একটি বিলাসবহুল বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পরিবারের তিনসদস্যের দেহ। অন্যদিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ওই পরিবারের বাকি ৩ জন। তাঁদের পুলিশ উদ্ধার করে জেরা করতেই প্রকাশ্যে আসে হাড়হিম হত্যাকাণ্ড।