পানাগড়ে কীভাবে মেয়ের মৃত্যু? উপযুক্ত তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে সুতন্দ্রার মা
প্রতিদিন | ০৫ মার্চ ২০২৫
গোবিন্দ রায়: ইভটিজিং নাকি রেষারেষি? ঠিক কী কারণে পানাগড়ে জাতীয় সড়কে মৃত্যু হয়েছে নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের, তা নিয়ে জল্পনা সবমহলে। এই পরিস্থিতিতে মেয়ের মৃত্যুর উপযুক্ত তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মৃতার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। চলতি সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে পানাগড়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান চন্দননগরের বাসিন্দা বছর সাতাশের সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। নৃত্যশিল্পীর পাশাপাশি তিনি ছিলেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার। জানান যায়, অভিশপ্ত রাতে পানাগড়ে জাতীয় সড়ক ধরে গাড়ি করে ফিরছিলেন সুতন্দ্রা। অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজন মত্ত যুবক তাঁর গাড়ি ধাওয়া করে কটূক্তি করে। তরুণীকে ইভটিজিং করা হয়। তাঁদের হাত থেকে বাঁচতে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন সুতন্দ্রার চালক৷ তার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়ি। প্রাণ হারান সুতন্দ্রা। যদিও ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইভটিজিংয়ের তত্ত্ব খারিজ করে দেন পুলিশ। পালটা দাবি করা হয় যে সুতন্দ্রার গাড়িই নাকি রেষারেষি করছিল অভিযুক্তদের সাদা গাড়ির সঙ্গে।
ফলে ওই রাতে কী ঘটেছিল তা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। সেই উত্তর খুঁজে পেতেই বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সুতন্দ্রার মা। মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন। ইতিমধ্যেই বিচারপতি তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা।