• যাদবপুর নির্লজ্জের দুর্গ! ভর্ৎসনা ব্রাত্যর, উপাচার্যকে দেখতে গেলেন হাসপাতালে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ মার্চ ২০২৫
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অসুস্থ ও চিকিৎসাধীন ভাস্কর গুপ্তকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার সকালেই ভাস্করকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর, এদিনই তাঁর শরীর, স্বাস্থ্যের খবর নিতে হাসপাতালে পৌঁছে যান ব্রাত্য।

    তবে, যেটা সংবাদমাধ্যমের নজর কেড়েছে, তা হল - এদিন শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল যথেষ্ট আঁটোসাঁটো। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, গত শনিবারের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই ব্রাত্যর নিরাপত্তা এদিন জোরদার করা হয়।

    যাদবপুরের অসুস্থ উপাচার্যের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, গত শনিবার রাত থেকেই শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না উপাচার্যের। কিন্তু, বুধবার সকালে অবস্থার আরও অবনতি হয়। উপাচার্যের রক্তচাপ মারাত্মক বেড়ে যায়। যা ওষুধ দেওয়ার পরও নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। ফলত, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্তি করে নেন।

    সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত প্রতিবেদন অনুসারে, আপাতত একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ভাস্কর। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, ডা. অরিন্দম বিশ্বাসকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, 'ওঁর রক্তচাপ ওঠানামা করছে। ওষুধ দিয়েও তা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না। যেহেতু বছর কয়েক আগে একবার ওঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়ে গিয়েছে, তাই আমরা দ্রুত ওঁকে ভর্তি করে নিয়েছি।'

    শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, ভাস্করের রক্তচাপ ১৭০-৯০ এর মধ্যে রয়েছে। তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে, এমন একটা আশঙ্কাও করছেন চিকিৎসকরা। তাই, আপাতত তাঁকে হাসপাতালেই পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় দুই ছাত্র গুরুতর জখম হন। ওই দিনই রাতে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান উপাচার্য। সেই সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের একাংশ। অভিযোগ ওঠে, বিক্ষোভের নামে ফের এক দফা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ধস্তাধস্তিতে উপাচার্যের পোশাকও ছিঁড়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়।

    উপাচার্যের পরিবারের সদস্যদের দাবি, ওই ঘটনার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ভাস্কর। বুধবার তা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায়। এদিকে, বুধবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত তাঁকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি ছিল, ওই সময়ের মধ্যেই উপাচার্যকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। এবং আলোচনায় আসতে হবে। সেই ডেডলাইন ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে।

    অন্যদিকে, এই ঘটনায় আন্দোলনকারী ছাত্রদের মানসিকতা নিয়েই কার্যত প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর প্রশ্ন, আজ যদি তাঁদের বাড়ির কোনও সদস্য মরণাপন্ন থাকতেন, তাহলে? উপাচার্য অসুস্থ। এই অবস্থায় তাঁকে বৈঠকে যেতে বলা হচ্ছে! এটাই যদি আন্দোলনকারীদের মূল বক্তব্য হয়, তাহলে বুঝতে হবে তাঁরা কতটা নির্লজ্জ! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নির্লজ্জের দুর্গে পরিণত হয়েছে বলে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)