সেই চিকিৎসকই প্রথম বুঝেছিলেন আরজি করের নির্যাতিতা মৃত, এবার তাঁর বয়ান নিল CBI!
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ মার্চ ২০২৫
গত বছরের ৯ অগস্ট তিনিই প্রথম আরজি করের চিকিৎসক পড়ুয়ার নিথর দেহ দেখে বুঝেছিলেন যে ওই তরুণী আর জীবিত নেই। গোটা ঘটনায় তাঁর আরও ভূমিকা রয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে! এবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেই সিনিয়র চিকিৎসককে ডেকে পাঠাল সিবিআই। কে তিনি?
এই সময় অনলাইন - এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সিবিআই-এর তলব পাওয়া সেই চিকিৎসকের নাম - অধ্যাপক চিকিৎসক সুমিত রায় তপাদার। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশ মোতাবেক মঙ্গলবারই তিনি সিবিআই-এর সিজিও কমপ্লেক্স-এর অফিসে হাজিরা দেন এবং গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলে দাবি সূত্রের।
সূত্রের দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছে আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নিহত নির্যাতিতার বাবা-মায়ের আকূল আবেদন। সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে সিবিআই অধিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওই প্রবীণ দম্পতি। তাঁরাই অধ্যাপক চিকিৎসক সুমিত রায় তপাদার এবং ডা. পলি সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন জানান বলে শোনা যাচ্ছে।
কিন্তু, কেন এই আবেদন? কারণ, নিহত চিকিৎসক পড়ুয়া আরজি করের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আর, ওই বিভাগেরই ভিজিটিং প্রফেসর হলেন এই - সুমিত রায় তপাদার। গত বছরের ৯ অগস্ট তিনিই প্রথম তরুণী চিকিৎসকের দেহ দেখে বুঝতে পেরেছিলেন, মেয়েটি আর জীবিত নেই। শুধু তাই নয়, সুমিত রায় তপাদারই নাকি সবার প্রথমে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষকে ফোন করে তরুণীর মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন।
তবে, নিয়ম অনুসারে - নিগৃহীতার নিথর দেহ আবিষ্কার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়নি। চার ঘণ্টা পর সেই কাজটি করেন জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা.পলি সমাদ্দার। এই কারণেই এই দুই চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন জানিয়েছিলেন নিহত নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মা।
সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান, এই কারণেই মঙ্গলবার ডা. সুমিত রায় তপাদারকে সিজিও-তে ডেকে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তাহলে কি আগামী দিনে পলি সমাদ্দারকেও একইভাবে ডেকে পাঠানো হবে। সেই বিষয় এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা না গেলেও, তার সম্ভাবনা যে রয়েছে, তা মানছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এদিকে, শিয়ালদা আদালতে চলা আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ইতিমধ্যেই তাদের স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাতে সিবিআই জানিয়েছে, তাদের তদন্ত একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। শীঘ্রই ফাইনাল রিপোর্ট আদালতে জমা করা হবে। তার ঠিক আগে যেভাবে পুলিশকর্মী ও চিকিৎসকদের ডেকে পাঠিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ ও বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।