• ‘ওঁর জীবনের দিকে তাকিয়ে…’, যাদবপুরের ভিসিকে দেখার পর JU-র পড়ুয়াদের কী বার্তা ব্রাত্যর?
    এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৫
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে বিকেল চারটে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। অন্যদিকে, বুধবার সকালেই অসুস্থ অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বললেন, ‘ওঁর একবার স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে। মানসিক চাপ উনি আর নিতে পারবেন না। ওঁর জীবনের দিকে তাকিয়ে আমি ছাত্রদের অনুরোধ করব, উপাচার্যের সঙ্গে যেন একটু মানবিক ব্যবহার করা হয়।’

    বুধবার বিকেল চারটের মধ্যে উপাচার্য জেইউ ক্যাম্পাসে না এলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। প্রয়োজনে মেডিক্যাল সাপোর্ট নিয়ে হলেও উপাচার্য ক্যাম্পাসে আসুন বলে দাবি করা হয়। পড়ুয়াদের দাবি নিয়ে ব্রাত্যর মন্তব্য, ‘তাঁদের পরিবারের কেউ এরকম হাসপাতালে ভর্তি থাকলে এরকম মন্তব্য করা যেত? চিকিৎসক যেখানে তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে বলছেন, ICU-র বেড থেকে উঠে গিয়ে তাঁকে যদি মিটিং করতে হয়, সেটা কী পরিমাণ অসহিষ্ণুতা, অমানবিক ব্যাপার, কী পরিমাণ নৈরাজ্য তৈরি হয়ে আছে যাদবপুরের ভিতরে।’

    উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের শারীরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে এ দিন হাসপাতালের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘ওঁর শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে স্থিতিশীল বলা যাবে না। রক্তচাপ কমলেও স্বাভাবিক হয়নি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৮৫-১৫০ রক্তচাপ রয়েছে উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের। ক্রিয়েটিনিন স্বাভাবিক রয়েছে।

    অন্যদিকে, বুধবারই যাদবপুরের ঘটনায় রাজ্যের গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, এমন ভাবে গোয়েন্দারা নিজেদের কাজে ‘ক্যাজ়ুয়াল মনোভাব’ দেখালে আরও বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আদালতের মন্তব্য নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমার ওখানে পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল, সেটা আমি মনে করিনি। অনেকে বলছেন, তাড়াহুড়ো করেছেন। আমি সেটাও মনে করিনি। আমার মনে হয়েছে, আমি সঠিক সময়েই বেরিয়েছি। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক হয়ে যায়, সেই কারণেই আমি বেরিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার গাড়ির সামনে ওঁদের আসাই উচিত হয়নি, সেটা আমি মনে করি।’

  • Link to this news (এই সময়)