বর্ধমানের শক্তিগড়ের হীরাগাছি গ্রামে ভাড়ায় থাকতে আসেন কয়েকজন। ‘সন্দেহজনক’ হওয়ায় ভাড়া দিতে অস্বীকার করেন বাড়ির মালিক। স্থানীয়রাও মনে করেন, কোনও অপরাধমূলক কাজের জন্য ভিন রাজ্য থেকে এসে ওই এলাকায় থাকতে চাইছেন কয়েকজন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। বেগতিক বুঝে একটি গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যেতে শুরু করেন সকলে। বুধবার সন্ধ্যায় যাত্রাপথের মাঝেই পুলিশের গাড়ি চোখে পড়লে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, কথাবার্তা শুনে বোঝা গিয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তিরা রাজস্থান থেকে এসেছিলেন। আজ সকালেই হীরাগাছি গ্রামের একটি বাড়িতে ৬ জন ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা বাড়ির মালিককে আপত্তি জানায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির মালিকও তাঁদের জানিয়ে দেন, ভাড়া দেওয়া যাবে না। রাতের মধ্যেই ঘর খালি করে দেওয়ার কথা জানান তিনি। ইতিমধ্যেই স্থানীয়রা পুলিশেও খবর দেয়।
এর পরেই একটি চারচাকা পিকআপ ভ্যান নিয়ে পালানোর চেষ্ট করে সকলেই। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হীরাগাছি থেকে আমড়া হয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরার পরিকল্পনা করেছিল ওই দুষ্কৃতীরা। কিন্তু বর্ধমান-হাওড়া লাইনের আমড়া রেল গেট বন্ধ থাকায় সেখানেই গাড়ি দাঁড় করাতে হয়। উল্টো দিকে পুলিশের গাড়ি দেখে গাড়িটি উল্টোমুখী রাস্তা ধরে। দ্রুত বেগে যাওয়ার সময় একটি ট্রলি-সমেত ট্রাক্টরে ধাক্কা মারে। তাতে একজন জখম হয়। স্থানীয়দের দাবি, এর পরেই শূন্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
ওই ট্রাক্টর চালক মনোয়ার মল্লিকের দাবি, ‘আমাদের ট্রাক্টরে ধাক্কা মারল গাড়িটি। আমরা ট্রলি-সমেত ট্রাক্টরটি নিয়ে জমিতে গিয়ে পড়লাম। হীরাগাছি গ্রাম ঢোকার মুখে ওই গাড়ি থেকেই শূন্যে দু’রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে। আমাদের হাত-পা এখনও কাঁপছে।’ গাড়িটির সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানিয়েছেন,পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।