• খুনের আগে মৃতার স্বামীর কাছে কেন গিয়েছিলেন আরতি-ফাল্গুনী? মধ্যমগ্রাম খুনে নয়া তথ্য
    এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৫
  • খুন করে বটি দিয়ে পিসিশাশুড়ির দেহ টুকরো করে ট্রলিতে পাচারের চেষ্টা। মধ্যমগ্রাম খুনে অভিযুক্ত আরতি ও ফাল্গুনী এখন পুলিশ হেফাজতে। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের দিন কয়েক আগে মৃতা সুমিতা ঘোষকে নিয়ে তাঁর স্বামীর বাড়ি বর্ধমানের সমুদ্রগড়ে গিয়েছিলেন খুনে অভিযুক্ত দুই মহিলা। কেন? কী কারণে তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন, সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ।

    সূত্রের খবর, ১১ ফেব্রুয়ারি সুমিতা ঘোষ মধ্যমগ্রাম বীরেশপল্লীর বাড়িতে আসেন। ১১ তারিখ থেকে খুন হওয়ার এই মাঝে সময়ে সুমিতা ঘোষের সঙ্গেই আরতি ও ফাল্গুনী বর্ধমানের সমুদ্রগড়ে সুমিতা ঘোষের স্বামী সুদীপ্ত ঘোষের কাছে গিয়েছিলেন। সুমিতাকে সুদীপ্তর কাছে কেন নিয়ে গিয়েছিলেন দুই অভিযুক্ত মহিলা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এছাড়াও হাইকোর্টের এক আইনজীবীর কাছেও সুমিতা ঘোষকে নিয়ে গিয়েছিলেন ফাল্গুনী বলে দাবি। তদন্তকারী অফিসাররা সুমিতা ঘোষের স্বামী সুদীপ্ত ঘোষ এবং ওই আইনজীবীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় যে তথ্য উঠে এসেছে সেই অনুযায়ী, রবিবার সন্ধ্যাবেলায় সুমিতা ঘোষকে হত্যা করেন সুমিতা ও ফাল্গুনী। তার পর শুরু হয় দেহ লোপাটের পরিকল্পনা। সিনেমা, সিরিজ়ের থেকে আইডিয়া নিয়ে বড় ব্যাগে দেহ লোপাট করার কথা ভাবেন তাঁরা। কিন্তু, বাড়ি থাকা ব্যাগে যে দেহ ঢুকবে না তা ভালোই বুঝতে পারেন দু’জনে। সেই মতো বড় ব্যাগ কিনতে কলকাতা আসেন ও দেহ ফেলার স্থানও রেইকি করে যান। কিন্তু বাড়ি ফিরে আরতি ও ফাল্গুনী দেখেন ওই ট্রলিতেও দেহ আঁটছে না। তখন বঁটি ও ছুরি দিয়ে দুই পা কেটে দেহটির মোট চার টুকরো করেন। তার পর সোমবার রাতেই ওই অস্ত্র বাকি জিনিস রাতের অন্ধকারে পুকুরে ফেলে দেন। এক সপ্তাহ পরে মঙ্গলবার পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে বঁটি, ছুরি এবং হাতুড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। মধ্যমগ্রাম থানা থেকে বারাসত মহিলা থানায় আনা হয়েছে দুই অভিযুক্ত ফাল্গুনী এবং আরতিকে। খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

  • Link to this news (এই সময়)