যাদবপুর-কাণ্ডের জেরে মিনার্ভা রেপার্টরি ছাড়লেন নাট্যকর্মী স্বাগতা চক্রবর্তী। বুধবারই তিনি মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের সচিবকে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন, যে মিনার্ভা রেপার্টরির চেয়ারম্যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে লিখেছেন, মিনার্ভা রেপার্টরির সঙ্গে তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন কাজের অভিজ্ঞতা হবে ভেবে। কিন্তু গত আড়াই মাসে তা হয়নি। তাঁর মনে হয়েছে, ‘এখানে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি।’ কিন্তু তার পরেও কোনও প্রযোজনা মঞ্চস্থ হওয়া অবধি তিনি থেকে যেতেন। তবে গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা তিনি মেনে নিতে পারছেন না। যদিও এই সিদ্ধান্তের জন্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, আশীর্বাদও করেছেন।
এ বিষয়ে এই সময় অনলাইনকে স্বাগতা জানান, চার রাউন্ড ইন্টারভিউ পেরিয়ে মিনার্ভা রেপার্টরিতে সদস্য হয়েছেন তিনি। চারটি রাউন্ডই পারফর্মিং আর্ট বিষয়ক। মোট ২০ জন সদস্য তাঁরা, তার মধ্যে একজন কোঅর্ডিনেটর। তিন বছরের জন্য এই সদস্যপদ। প্রতি বছর নতুন ভাবে তা রিনিউ করানো হয়। স্বাগতার কথায়, ‘যাদবপুরের ঘটনার পরে ব্রাত্য বসুর অধীনে মিনার্ভা রেপার্টরিতে শিল্পী হিসাবে আমার পক্ষে যুক্ত থাকা আর সম্ভব হচ্ছে না।’
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের মেয়ে স্বাগতা দমদমে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ফ্রিল্যান্স করতেন তিনি। মিনার্ভার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে নাট্যগোষ্ঠী 'সূত্রপাত'-এর সঙ্গে কাজ করতেন। এখন স্বামীর সঙ্গে হাওড়ায় থাকেন। স্বামীও নাট্যজগতের সঙ্গেই যুক্ত। এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমি ওঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ও বড় হোক। ওঁর ভালো হোক। অভিনয়ে খুব নাম করুক। ও না চাইলেও আমার আশীর্বাদ রয়েছে।’